parbattanews

কাপ্তাই সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের স্কিল কম্পিটিশন

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের সহায়ক ‘স্কিল কম্পিটিশন ২০১৭ প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিযোগিতা বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবার) সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।  বাংলাদেশ সরকার, বিশ্ব ব্যাংক এবং কানাডার আর্থিক সহায়তায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কারিগরি এ ‘স্কিল কম্পিটিশন-২০১৭’ অনুষ্ঠিত হয়।

কাপ্তাইয়ের সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতা দিয়ে বর্তমান ডিজিটাল যুগের বিভিন্ন কাজে লাগে এমন প্রায় ২২টি উদ্ভাবনী জিনিস তৈরি করে প্রর্দশনী দেখানো হয়।

শিক্ষার্থীদের তৈরিকৃত উদ্ভাবনী কার্যক্রম এবং মেধা শক্তিগুলো পরিদর্শন করে মূল্যায়ন করেন কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) এমডি, প্রকৌশলী এমএম এ কাদের, সুইডেন পলিটেকনিক অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আশুতোশ নাথ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক আব্দুল মতিন হাওলাদার, প্রকৌশলী মোস্তাক আহমেদ, প্রকৌশলী তপন কান্তি মল্লিক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নাদির আহমেদ, কেপিএম জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ২২টি প্রকল্প অংশ গ্রহণ করে।  বর্তমান যুগে কাজে লাগে এমন তিনটি উদ্ভাবনী জিনিসকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট্য মূল্যায়ন কমিটি যাচাই-বাছাই করে প্রথম হতে তৃতীয় ঘোষণা করে। এর মধ্যে প্রথম হয় অটোমোবাইল, দ্বিতীয় কম্পিউটার ও তৃতীয় হয় সিভিল উড। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ সময় সুইডেন পলিটেকনিকের সকল বিভাগীয় প্রধানসহ সকল শিক্ষক অংশ গ্রহণ করেন।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আশুতোষ নাথ বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রচুর পরিমান মেধা শক্তি রয়েছে। শুধু ইচ্ছা শক্তি কাজে লাগাতে পারলে সুন্দর একটি দেশ আগামীতে উপহার দিতে পারবে বলে তিনি মনে করেন। বিজয়ীরা চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পর্যায়ে ১৮ নভেম্বর অংশগ্রহণ করবে। পরে ১৩টি অঞ্চলের আঞ্চলিক পর্যায়ে ৫১টি উদ্ভাবন নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে ৯ ডিসেম্বর অংশ্র গ্রহণ করবে। তার প্রতিষ্ঠান জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Exit mobile version