parbattanews

কাপ্তাই হ্রদে জেগে উঠা দ্বীপে তরমুজ চাষে কৃষকের সাফল্য

Water melion copy

কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ

কাপ্তাই হ্রদের পাশে জেগে উঠা দ্বীপে তরমুজ চাষে এবার ব্যাপক সাফল্য অর্জনের আশায় চাষিরা সকাল হতে বিকাল পর্যন্ত নিরোলস পরিশ্রাম করে যাচ্ছে। ঘবোগোনাস্থ ধানপাতা নামক এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে জেগে উঠা দ্বীপে চাষিরা অন্য সব ফসল না করে বেশি অর্থ উর্পাজনের আশায় আগাম ফসলের সাফল্য পাওয়ার জন্য কাজ করে চলেছে। চার দিকে ঘেড়া হ্রদ, পাহাড়, জাঙ্গল  আর হ্রদের পাশ দিয়ে ছোট, ছোট জেগে উঠা দ্বীপে দৃষ্টিনন্দন সবুজের সমোরাহ ছোট, ছোট তরমুজ আর তরমুজের চাষ দেখা যায়। চাষিরা মাইনী ও  চট্রগ্রামের, বাঁশখালী উপজেলা হতে এ তরমুজ চাষ করতে আসছে।

দ্বীপের ওপর ছোট, ছোট থাকার ঘর করে এবং বাগান চাষে স্ত্রী, সন্তানদের সহযোগীতা নিয়ে সকলে কাজ করার জন্য ছোট দ্বীপে ভাল ফসলের আশায় নিরোলসভাবে কাজ করে চলেছে। তরমুজ চাষি আল অমিন জানান, আগামি দু’এক মাসের মধ্যে ব্যাপক তরমুজ পাওয়া যাবে। বহুদুর থেকে এসে কিছু লাভের আশায় পরিবারের সকলকে নিয়ে প্রতিদিন ক্ষেতে পানি দিতে হয়।

দ্বীপের মধ্যে অনেক শীত উপেক্ষা করে সারাদিন পরিশ্রম করে চলেছি। প্রায় এক লাখ টাকার তরমুজ চাষ করেছি। আল্লাহর রহমতে যেভাবে এবার ফল বা চাষ হয়েছে আশা করি আগামি ২/১মাসের মধ্যে কয়েক লক্ষ টাকার আয়ের মুখ দেখা যাবে। আমার দেখাদেখি এলাকার বহু লোকজনের এ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, হ্রদ হতে পানি উঠাতে অনেক কষ্ট তাই মেশিন দিয়ে পানি উঠিয়ে বাগানে দেওয়া হয়।

মেশিনের তৈল খরচও অনেক। আশা করি যে উর্বর মাটি এবং রোদ্র পাচ্ছি তাতে করে ভাল ফসলের মুখ দেখা যাবে। অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী এরি মধ্যে আগাম টাকা দিয়ে ফসলের সকল তরমুজ কিনার জন্য টাকা নিয়ে আসছে।

চাষি মনসুর বলেন, পাহাড়ের ঢালুতে যে ভাল তরমুজের ফসল হয়। তা না দেখলে বোঝা যাবেনা। তিনি বলেন, যে পরিমানে পরিশ্রম করেছি আশা করি আগামীতে পরিশ্রমের সৌভাগ্যের ফল পাওয়া যাবে। অনেক পর্যটন ভ্রমণার্থী লোকজন নৌকা, সাম্পান, লঞ্চ থামিয়ে সরজমিনে তমুজের চাষ দেখে মুগ্ধ হয়েছে। অনেকে আবার স্মৃতির পাতায় ধরে রাখার জন্য তরমুজের ছবি তুলে নিচ্ছে।

Exit mobile version