parbattanews

কাপ্তাই হ্রদে জেলেদের ভাসমান নৌকায় সৌরবিদ্যুৎ

Solar

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি:

দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত পাহাড়ী দুর্গম পল্লীর মানুষরা নিতে শুরু করেছে ডিজিটালের সুফল। শহর এলাকায় বৈদ্যুতিক বাতি, পাখাসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির দেখা বহু আগে মিলেও পিছিয়ে ছিলো দুর্গম পল্লীগুলো। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এখন অনেক দুর্গম পাহাড় ও গ্রামে বৈদ্যুতিক বাতি বা পাখার ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রযুক্তি প্রসারের এই ধারাবাহিকতায় রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদে এবার প্রথম মাছ ব্যবসায়ি ও জেলেদের ইঞ্জিনচালিত নৌকায় জ্বলতে শুরু করেছে সৌরবিদ্যুতের বাতি।

এখন কাপ্তাই হ্রদের নিকটবর্তী বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াতের সুবিধা, নৌকার মাঝির অবস্থান জানা ও শিকারের সময়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশ বোঝার জন্য কাপ্তাই হ্রদের জেলেদের ১৫-২০টি মাছ ধরার নৌকায় সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে ।

কাপ্তাই মৎস ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি শাহাবুদ্দীন সওদাগর বলেন, আমার ১০/১২টি মাছের নৌকা আছে। প্রতিটি নৌকায়ই আমি সৌর বিদ্যুৎ লাগিয়ে দিয়েছি। তাতে করে আমি পূর্বের চেয়ে অনেক সুবিধা পাচ্ছি। এর আগে কেরোসিন তেল খরচ করা হতো, বিভিন্ন সময় অপচয় হতো, মাছের মধ্যে তেল পড়ে মাছ নষ্ট হতো। আর কখন মাঝিরা হ্রদ হতে আসতো তা বোঝার কোন উপায় ছিলনা। বর্তমানে আমি মাত্র ১৩ হাজার টাকার সৌরবিদ্যুৎ লাগিয়ে ভাল সুফল পাচ্ছি। প্রতি নৌকার মাঝির আগের মত আর অতিরিক্ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছেনা। অতি দ্রুত আমার নৌকাকে আধা কিলোমিটার দূর হতে সৌরবিদ্যুতের বাতির মাধ্যমে অবস্থান চিহ্নিত করা যাচ্ছে।

শাহাবুদ্দীন সওদাগার আরো বলেন, প্রতিটি নৌকায় সৌরবিদ্যুৎতের দু’টি করে ৬০ভোল্টোর বাতি জ্বলে ৭ঘন্টা যাবত। এতে করে মাছ ব্যবসায়ি ও জেলেরা জেলার মাইনী, লংগদু, মারিশ্যাসহ বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় অনায়াসে কাজ করছে। আমাকে দেখে আরো অনেকেই নিজেদের ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার শুরু করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Exit mobile version