parbattanews

কাপ্তাই হ্রদে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেদের মাছ শিকার

কাপ্তাই হ্রদে প্রজননের স্বার্থে তিন মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কর্ণফুলী নদীর বরকল হরিণা চ্যানেল এলাকায় চলছে মাছ শিকার। কর্ণফুলী চ্যানেলটি প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।

কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট চালক নিক্সন চাকমা (৪২) বলেন, ‘প্রায়ই দেখি কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার করছে জেলেরা। দিন-রাত নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করা হচ্ছে। পুরো কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের কোনো কার্যক্রম দেখা যায় না। এ সুযোগ নিচ্ছে সেসব জেলে। কর্ণফুলী, কাচালং, রাইখ্যং, চেঙী নদীর চ্যানেলে প্রতিদিন মাছ শিকার করা হচ্ছে।’

রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. হারুনুর রশীদ বলেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর মাছ শিকার ও পাচার বেশি হচ্ছে। আগে আমরা দেখতাম ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে বিএফডিসি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতেন। এবার তাও দেখা যাচ্ছে না। হ্রদে নৌ পুলিশ নেই। মোট কথা হ্রদের মৎস্য সম্পদ রক্ষার কোনো উদ্যোগই লক্ষণীয় নয়। এভাবে চলতে থাকলে হ্রদের মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাবে।

বিএফডিসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, বিগত সময়ে মাছ শিকার বন্ধকালীন কাপ্তাই হ্রদে নৌ পুলিশ সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে টহলে থাকতেন। কিন্তু বর্তমানে তা হচ্ছে না।

তবে বিএফডিসি রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া দাবি করেন, ‘কাপ্তাই হ্রদের কোথাও মাছ শিকার হচ্ছে না। সব জায়গায় আমাদের লোক আছে।’

মাছের প্রজননের স্বার্থে প্রতি বছরের ১ মে থেকে পরবর্তী তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। এ সময়ে মাছের পোনা ছাড়ে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন।

Exit mobile version