parbattanews

কক্সবাজারে কারামুক্ত হলো সাজাপ্রাপ্ত ১৪ ইয়াবাকারবারি

কক্সবাজারের কারামুক্ত হলো সাজাপ্রাপ্ত ১৪ ইয়াবাকারবারি। রবিবার (২৭ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে তারা কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন।

আদালতের আদেশে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. শাহ আলম খান।

তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যার আগে আদালতের আদেশ কারগারে পৌঁছে। কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, তাদের ১৪ জনেরই হাজতবাস হয়েছে কক্সবাজার কারাগারে। আদালতের তথ্য যাচাই বাছাই করে তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।’

তবে বাকি তিন জনের হাজতবাস চট্টগ্রাম কারাগারে থাকায় তাদের তথ্য যাচাই বাছাই করতে দেরি হচ্ছে। যদি তাদেরও সাজার চেয়ে হাজতবাস বেশি হয়। এই তিনজনও মুক্তি পাবে।

জেল সুপার আরো বলেন, ‘আসামি মাহবুব আলম ও নুরুল হুদা মেম্বারের সাজা এবং হাজতবাস সমান হওয়ায় তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমান দিতে হয়েছে।’

গত ২৩ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আত্মসমর্পনকারী ১০১ জন ইয়াবাকারবারিকে ১ বছর ৬ মাস করে কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে অস্ত্র মামলায় সকলকে খালাসের আদেশ দেন বিচারক। আদেশের চেয়ে হাজতবাস বেশি হওয়ায় আইনগতভাবে আসামিরা মুক্তি পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে ১০২ জন আত্মস্বীকৃত ইয়াবাকারবারি ও গডফাদার সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০ টি দেশীয় বন্দুক ও ৭০ রাউন্ড গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম বাদী হয়ে ১০২ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে ধারায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় পরিদর্শক এবিএমএস দোহাকে। একই দিন সকল আসামীকে গ্রেফতার দেখিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট মোহাম্মদ রাসেল নামে এক আসামী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০১ আসামীর বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন।

Exit mobile version