parbattanews

কারামুক্ত হয়ে বেপরোয়া আসামি, বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর

কক্সবাজার শহরের এসএম পাড়ায় রাতের অন্ধকারে আইনজীবীর বসতবাড়ির সীমানা দেওয়াল ভাঙচুর ও মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। কারামুক্ত দখলবাজ ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন বসতবাড়ির মালিক অ্যাডভোকেট জুবাইরুল ইসলাম, তার মা শাকেরা বেগম, খালা রিজিয়া বেগম, তাহেরা বেগমসহ অন্তত ৭ জন।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটেছে।

জেল ফেরত আসামি ও চিহ্নিত দখলবাজ শফি উল্লাহর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী এ ঘটনায় জড়িত বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জুবাইরুল ইসলাম।

খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় জড়িত কেউ আটক হয়নি।

আহত জুবাইরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মালিকানাধীন জমিতে কয়েকদিন ধরে নির্মাণ কাজ চলছে। রাতের অন্ধকারে সীমানা দেওয়াল ভেঙে ভেতর ঢুকে হামলা চালায় জেল ফেরত আসামি শফিউল্লাহর নেতৃত্বে দখলবাজ ও সন্ত্রাসীচক্র।

তিনি বলেন, দখলবাজদের সবার হাতে অবৈধ অস্ত্র ও লাঠিসোটা ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমাদের উপর হামলে পড়ে। এতে আমি ও আমার মাসহ পরিবারের সদস্যদের হাতুড়ি ও লাঠিপেটা করে। জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শ্রমিকদের জিম্মি করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যায়।
ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর শফি উল্লাহর নেতৃত্বে একই বাড়িতে আবারো হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওয়াহিদুজ্জামান রাজিব। যার থানা মামলা নং-৩০/২২। জি.আর মামলা নং-৭২৯/২২। আদালতের আদেশে ১৭ নভেম্বর মামলাটি রেকর্ড হয় থানায়। প্রধান আসামি শফি উল্লাহ ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারান্তরীণ ছিল। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে সে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকে জায়গাজমির বিরোধ ছিল বলে জেনেছি। সেই বিরোধের জেরে ঘটনা ঘটতে পারে। বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version