কার বায়োমেট্রিকে রোহিঙ্গা শিবিরে আট লক্ষ সিম নিবন্ধিত?

fec-image

সাত দিনের মধ্যে রোহিঙ্গা শিবিরে সিম বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধে মোবাইল অপরেটর কোম্পানিদের সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত ১১ লাখ রোহিঙ্গার হাতে অবৈধভাবে ৮ লাখের অধিক সিমকার্ড চালু রয়েছে বলে ধারণা করছেন এই ব্যবসার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কার বা কাদের বায়োমেট্রিকে রোহিঙ্গারা সিম ব্যবহার করে যাচ্ছে তা কি সঠিক তদন্ত করা হবে?

জানা যায়, বিটিআরসি এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সাত দিনের মধ্যে রোহিঙ্গা শিবির গুলোতে কোনো প্রকার সিম বিক্রি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কর্তৃক সিম ব্যবহার বন্ধ তথা তাদেরকে মোবাইল সুবিধা প্রদান না করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সকল মোবাইল অপারেটরকে রোববার জরুরি নির্দেশ প্রদান করেছে।

ইতিমধ্যে দেয়া বিটিআরসির চিঠিতে জানানো হয়, বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা বর্তমানে রোহিঙ্গা শিবিরে বিভিন্ন কোম্পানির সিম বিক্রি ও অপব্যবহারের তথ্য পেয়েছে। চিঠিতে অপারেটরগুলোকে মোবাইল নেটওয়ার্ক যেন মিয়ানমার পর্যন্ত না পাওয়া যায় এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু অপারেটরগুলো সরকারের ওই নির্দেশ উপেক্ষা করে চললে তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে চিন্তিত সচেতন মহল।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশি অপারেটরদের সিম ব্যবহার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। কিছু বাংলাদেশি নিজেদের বায়োম্যাট্রিক তথ্য ব্যবহার করে নিবন্ধিত সিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিক্রি করছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ সিম ব্যবহার বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। কিন্তু সে নির্দেশনা ভাটা পড়েছিল।

নতুন করে সোমবার ২ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ সকল কিছু থামানো সম্ভব।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বিটিআরসি, রোহিঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন