কালারমারছড়ায় গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে বদলে গেছে এলাকার চিত্র
মহেশখালী উপজেলার সন্ত্রাস কবলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত ইউনিয়ন হিসাবে পরিচিত ছিলো কালারমারছড়া ইউনিয়ন। বর্তমান সরকারের গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের ছোঁয়াই বদলে গেছে এলাকার চিত্র। সরকারি বরাদ্দে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তারেক এলাকায় প্রশস্থ রাস্তাঘাট ও পানি নিষ্কাশনের জন্য কালভাট স্থাপন করেছেন।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) মহেশখালীর গ্রামীণ সড়ক (এইচ বিবি) প্রকল্প পরির্দশনে আসেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম। কালার মারছড়ার বেশ কয়েকটি প্রকল্প পরির্দশন করে তারা কাজের মান ও এলাকার উন্নয়ন দেখে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের সঞ্চলনায় মাটির রাস্তাসমূহ টেকসই করার লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ প্রকল্প পরির্দশনে ছিলেন ছিলেন, আইএমইডি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) এস এম হামিদুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইএমইডি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (যুগ্মসচিব) পুলক কান্তি বড়ুয়া, আইএমইডি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সহকারী পরিচালক মো. আমিনুর রহমান, উপ প্রকল্প পরিচালক হেরিং বোন বন্ড করণ (এইচবিবি) ২য় পর্যায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ও কালারমারছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বীন ওসমান শরিফ।
সড়ক পরির্দশন শেষে এস এম হামিদুল হক জানান, সুদূর অতীত থেকেই বাংলাদেশ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্পের মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে আসছে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপসমূহ অনুসরণ করে বর্তমানে বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা সফলতার সাথে করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে (এইচবিবি) ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে জানমাল রক্ষার জন্য দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তৈরি করা হয়েছে ২১৮টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকার মানুষের জীবন এবং সম্পদ রক্ষায় সারাদেশে ১৬৪টি মুজিবকিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫টির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসই করার জন্য হেরিং বোন বন্ড প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ৫৮৮ দশমিক ৭৮ কিমি রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে ।
কালারমারছড়া যে পরিমান কাজ হয়েছে সেটা সন্তোষ জনক। আমরা মহেশখালীর প্রতিটি ইউনিয়নে এমন কাজ হোক সেটা আশা করি।