parbattanews

কুকি-চীন পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করার চেষ্টা করছে: বিজিবি মহাপরিচালক

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বলেছেন, কুকি-চীন পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্ত পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের দমনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযানে রয়েছে বিজিবির সদস্যরাও। আমরা চেষ্টা করছি বর্ডার এলাকা পেরিয়ে কেউ যেন দেশের বাইরে চলে যেতে না পারে বা বাইরে থেকে কেউ যেন ঢুকতে না পারে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিজিবি সদর দফতর পিলখানায় আয়োজিত বিজিবি বিএসএফ ৫৩তম মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন বিষয়ে জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম খুবই দুর্গম এলাকা। যেখানে যাতায়াত ব্যবস্থা নেই। সেখানকার অনেক জায়গা রয়েছে পায়ের চিহ্ন পড়েনি। সবচেয়ে দুর্গম এলাকা বান্দরবান। বিজিবি কুকি-চীন দমন অভিযানের ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার একটি পাহাড়ে কুকি-চীনের একটি ক্যাম্প দখলে নিয়েছে। সেখান থেকে দেশীয় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের ইউনিফর্ম ও ওয়াকিটকি ছাড়াও আনুষঙ্গিক অনেক কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা এখনও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযানে কাজ করছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, চাইখনং পাড়া থেকে দোকানিছোড়া পর্যন্ত পাঁচটি বিওপি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কুকি-চীনের একটি ক্যাম্প বিজিবির দখলে নেওয়া হয়েছে। সেটির আধুনিকায়ন করে বিজিবি একটি ক্যাম্প পরিচালনা করছে। সেখানে স্থায়ী একটি বর্ডার পোস্ট স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বম জনগোষ্ঠী ভারতের মিজোরামে চলে যাচ্ছে বলে বিএসএফ তথ্য উপস্থাপন করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের জানানো হয়েছে, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের কারণে ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশেরই পার্বত্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। উভয় দেশে তাদের আত্মীয়স্বজনরা বসবাস করছে।

সম্প্রতি পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মি দমনে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে বিজিবির কাছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রোপাগান্ডার অংশ হিসেবে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জোরপূর্বক মিজোরামে পাঠিয়ে থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে জাতীয়তা নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Exit mobile version