parbattanews

কুতুপালংয়ে অারো ৫টি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে-ত্রাণ মন্ত্রী

ঘুমধুম প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুপালং এলাকার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আরো পাঁচটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। রোববার(২৯ অক্টোবার) দুপুর আড়াইটার দিকে সচিবালয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

গত শুক্রবার গভীর রাতে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং এলাকায় রোহিঙ্গা এক যুবকের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই রাতে বালুখালী ক্যাম্পের ভেতর নলকূপ বসানোর কাজ করার সময় রোহিঙ্গাদের হামলায় চার নলকূপ শ্রমিক আহত হয়েছেন।

এই ঘটনার একদিন পরই সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলো। এর আগে কুতুপালংয়ে কেবল একটি পুলিশ ক্যাম্প ছিল। ক্যাম্প স্থাপন প্রসঙ্গে মায়া বলেন, যেহেতু রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে সেহেতু তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বও সরকারের। সে কারণেই নতুন এই ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে।

এছাড়া মন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য শরণার্থী শিবির নির্মাণ করার কারণে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পাহাড় ও গাছ কাটার বিষয়টি সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে বন ও পাহাড় কেটে ফেলায় পরিবেশে বিপর্যয় নেমে আসবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, বন উজাড় হলে, পাহাড় কাটা হলে এগুলো আবার করা যাবে, কিন্তু মানুষের জীবন বিপন্ন হলে ফেরত আনা যাবে না। মানবিক কারণেই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা এবং জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। সরকার সেটাই করছে।

মায়া আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপে মিয়ানমার নত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্য। এই চাপ অব্যহত রাখতে হবে। আশা করা হচ্ছে সব রোহিঙ্গাকে নিজ জন্মভূমিতে ফেরত দেওয়া যাবে। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন হলে এই জায়গাগুলো পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে ৮০০ নতুন রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়েছে। এ ছাড়া চার হাজার শিশু আছে যাদের মা-বাবা কেউ নেই। এদের থাকা খাওয়া শিক্ষা চিকিৎসা সব ধরনের ব্যবস্থা সরকার করছে। তাদের জন্য পয়ঃনিষ্কাশন, শৌচাগার নির্মাণ, রাস্তাঘাট নির্মাণের সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শৃঙ্খলার সঙ্গে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।

Exit mobile version