parbattanews

কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ’র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় উখিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রেজিষ্ট্রার্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ইনর্চাজের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম, দুনীর্তি, পক্ষপাত দুষ্টের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনগণ তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় উখিয়া প্রেসক্লাবে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ খলিলুর রহমান মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রারি করে আসছেন।

এ বির্তকিত ক্যাম্প ইনর্চাজ যোগদানের পর থেকে এনজিও’দের বেআইনী সহযোগিতা করে আসছেন তিনি। রোহিঙ্গাদের অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় মদদ প্রদান, রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে অবৈধ ব্যবসা বানিজ্যে করতে সুযোগ করে দিয়ে টাকা আয় করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।

সম্প্রতি ক্যাম্প ইনর্চাজ খলিলুর রহমান বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। তিনি ইতিমধ্যে রাজাপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুপালং গ্রামের প্রায় একশত পরিবারকে বসতবিটা থেকে উচ্ছেদ, স্থায়ী স্থাপনা ভাংচুর, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, ক্ষেত খামারের জায়গা জোর পুর্বক দখল করে এনজিও’দের অফিস করে দিচ্ছেন।

অভিযোগ করা হয়, জমির মালিকেরা প্রতিবাদ ও বাধা দিতে চাইলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ে স্থানীয়দের হামলা ও নির্যাতন নিপীড়ন চালান তিনি। আবার ম্য্যজিষ্ট্রেসি ক্ষমতার অপব্যবহার করে হামলা মামলার আশ্রয় নিয়ে থাকেন তিনি।

এদিকে ক্যাম্প ইনচার্জের জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে কুতুপালং গ্রামের বাসিন্দারা গত ১৫/০৯/২০২০ ইং তারিখ রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধে। এতে ক্যাম্প ইনর্চাজ খলিলুর রহমানকে দ্রুত অপসারণের দাবি করা হয়েছে।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুলুপি প্রদান করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, সচিব, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, জিওসি রামু সেনানিবাস, চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর।

Exit mobile version