parbattanews

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাচনে আলোচনায় ৪ প্রার্থী

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে অনুষ্টিতব্য কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম‌্যান প‌দে অংশ নিতে বেশ কয়েকজন জাদরেল প্রার্থী ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় অনেক প্রার্থীই দ্বন্দে ছিলেন। বিশেষ করে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী নির্বাচন করবেন কিনা এ নিয়ে সন্দেহ থাকলেও গত শনিবার তার প্রার্থী হবার নিশ্চিত করেন দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে।

বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান ও বড়ঘোপ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আবুল কালাম বলেন, দলীয় প্রতীক না থাকলেও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন এটা নিশ্চিত। দলীয় নেতা-কর্মীরা একজোট হয়ে তাকে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

বিএনপি-জামায়াত অন্যান্য নির্বাচনের মত বর্তমান সরকারের অধিনে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা থাকলেও যেহেতু দলীয় প্রতীক থাকছেনা এবং তৃণমূলে ব্যক্তিগত বাধা প্রদান করা না হলে উত্তর ধুরুং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী নির্বাচন করবেন ব‌লে তি‌নি জানান।

তার প্রচারণাও চল‌ছে ভিত‌রে ভিত‌রে এমন আভাস জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। তিনি গত ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরীর সাথে হাড্ডাহাডি লড়াই করে হেরে যান।

তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনায় দলীয় কোন নেতা-কর্মী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। কোন নেতা-কর্মী ব্যক্তিগত দলীয় পরিচয় ছাড়া অংশ নেয়ার সুযোগে বাধা না দিলে কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ প্রার্থী হবেন বলে নিশ্চিত করেন।

এদিকে সাবেক উপজেলা চেয়াম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে উপ‌জেলা বিএন‌পি’র সাধারণ সম্পাদক এম,এ ছালাম কুতুবী জানিয়েছেন।

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছেন আলোচনায় উঠে আসছেন নতুন মুখ ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম। বড়ঘোপ মাতবর পাড়ার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম এরশাদুল হাবিব রুবেল‘র ছোট ভাই। তার আরেকটি পরিচয় উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর ভাতিজা। তিনি বেশ আগে থেকেই নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সে লক্ষ্য নিয়েই তিনি উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। রুবেল হত্যার জেরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে চাচা-ভাতিজার নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কে হারেন-কে জেতেন সেটিই দেখার অপেক্ষায় ভোটাররা।

এছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি মাস্টার আহমদ উল্লাহ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কক্সবাজার উত্তরজোনের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী মুকুল, জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম কুতুবী, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বড়ঘোপ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন প্রমুখের নাম শোনা গেলেও তারা প্রার্থী হচ্ছেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়।

অপর দিকে এবার প্রথমবারের মত কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাচনে ভোটারগণ ভোট দেবেন ইভিএম এ।

ভোটারদের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া সঠিক পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক নারী-পুরুষ।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. নুরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৩৭টি কেন্দ্রে ভোট হবে। তার আগে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের ইভিএম ভোট গ্রহণে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। একইভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডের ভোটারদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version