parbattanews

কুতুবদিয়ায় আবারো ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্য বিয়ে পণ্ড

কুতুবদিয়ায় আবারো ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন বন্ধ হলো। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের ঠান্ডা চৌকিদার পাড়ায় এ বাল্য বিয়ের আয়োজন ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই গ্রামের ইউনুছের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে স্থানীয় আল ফারুক দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী রেশমা আক্তার ঝুমা’র (১৩) সাথে একই গ্রামের আবু মুছার পুত্র রুবেল‘র সাথে মঙ্গলবার বিয়ের আয়োজন চলছিল। বিষয়টি এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে জানালে তিনি ওই মাদ্রাসার সুপার মোর্শেদুল মন্নান ও লেমশীখালী ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোছাইনকে তদন্ত করে বাল্য বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন।

নির্দেশ পেয়ে দুপুরেই মাদ্রাসার সুপার বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চৌকিদারসহ বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বিয়ের যাবতীয় আয়োজন বন্ধসহ মেয়ের পিতা-মাতার কাছ থেকে মুচলেকা নেন বলে ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন জানান।

এছাড়া পরদিন থেকে পুনরায় ছাত্রীকে মাদ্রাসায় পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয় বলেও তিনি জানান। অভিযোগ রয়েছে অধিকাংশ বাল্য বিয়ের আয়োজন বন্ধ হলেও বিয়ে বন্ধ হচ্ছেনা।

কুতুবদিয়া মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মারুফা খানম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাল্য বিয়ের আয়োজন প্রশাসন বন্ধ করে দিচ্ছেন। কিন্তু বিয়ে বন্ধ হচ্ছেনা। দু‘সপ্তাহ আগেও একই এলাকাূয় ৭ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন পণ্ড করে দেন প্রশাসন। তবে অন্যত্র গিয়ে গোপনে সেটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।

গোপন চৃুক্তিতে বিয়ে হয় বর-কনের অভিভাবকদের দ্বারা। এ অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত না হলে বাল্য বিয়ে রোধ হবেনা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর বলেন, বাল্য বিয়েটি তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে তা বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলায় অধিক বাল্য বিয়ে হচ্ছে লেমশীখালী ও আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে। জনপ্রতিনিধিরা তৎপর না হলে সামাজিক এ ব্যাধি বন্ধ হবেনা। প্রশাসন সব সময়ই প্রস্তুত থাকেন বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ এবং বন্ধে।

Exit mobile version