parbattanews

কুতুবদিয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার সঙ্কট

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র ফলে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় হঠাৎ রবিবার বিকাল থেকে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বাড়ছে। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও বেলা ২টার পর থেকে উপজেলায় বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে প্রশাসনের তথ‍্যমতে শনিবার মধ‍্য রাত পর্যন্ত ৯২টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ হাজার মানুষ।

এই বিশাল আশ্রিত মানুষের জন‍্য প্রতি ইউনিয়নে ১০০ প‍্যাকেট শুকনো খাবার ও ৬০ কার্টন কেক। যা ২০ ভাগ আশ্রিতদের ৩ বেলা কিভাবে সম্ভব।

কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ, দক্ষিণ ধূরুং লেমশীখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় এখানে আশ্রয় নেয়া মানুষের নানা ভোগান্তি। পায়নি পর্যাপ্ত শুকনো খাবার। গবাদি পশু, হাস, মুরগিসহ ভোগান্তির শেষ নেই।

উত্তর ধুরুং কালারমা পাড়ায় একটি কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মনছুরা বেগম বলেন, রাতে খাবার পাননি। তাই তিনি সকালে চলে যান বাড়িতে।

কৈয়ারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া শামশুল আলম(৭৫) জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় আশ্রয় নিয়েছি, এখনও পাইনি শুকনো খাবার।

কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে হৃদমা রাণী দাশ জানান, আলী আকবর ডেইল কুমিরা ঘোনা থেকে গতকাল রাতে আশ্রয় নিয়েছে, বাচ্চারা খাবারের জন্য কান্নাকাটি করতেছে, তাড়াহুড়ো করে চলে এসেছি, খাবার নিয়ে আসতে পারিনি।

দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, অনেক লোক আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে রাতে। তাদেরকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়নি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, রবিবার আড়াইটার দিকে ১০০ প‍্যাকেট শুকনো খাবার ও ৬০ কার্টন কেক সরবরাহ পেয়েছেন। এটা যথেষ্ট নয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাত ৩টার দিকে বেশ কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছে। তারা হয়তবা পায়নি। তাদের জন‍্য শুকনো খাবার পৌঁছে যাবে বলে জানান।

Exit mobile version