Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

কুতুবদিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে ২০শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত

Kda-9 copy

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু‘র প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও পানির স্রোতে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার ২০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। আর এদের মধ্যে শুধু উত্তর ধুরুং ইউনিয়নেই ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সরকারি তথ্যে জানা গেছে।

দ্বীপের চর্তুদিকে অনেকাংশে বেড়িবাঁধ না থাকায় সহজেই দ্রুত সাগরের পানি প্রবেশ করে লোকালয় থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। জানা যায়, ঝড়ো হাওয়ার আগাম সংবাদে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় লোকজনের অনুপস্থিতি ছিল না। মুহূর্তেই ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে পড়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়াল বেড়া। সতরুদ্দীন এলাকার ফৈয়জুল আজিজ, গোলাম সোবহান হাজী পাড়ার বৃদ্ধ আব্দুল জলিল (৮৪) বলেন, পেয়ারা কাটা নামক স্থানে বেড়িবাধঁ নেই দীর্ঘ দিন থেকেই। রোয়ানু‘র আঘাতে বেড়িবাধেঁর পাশে সতরুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের দু‘টি একাডেমিক ভবন ঢেউয়ের সাথে ভেসে গেছে। ওই ভবন দু‘টি ছাড়াও বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র কম্পিউটার, সৌর বিদ্যুৎ সরঞ্জাম বই, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সবই চলে গেছে পানিতে। ষষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির প্রায় সাড়ে ৩‘শ শিক্ষাথীকে পাঠ দান সম্ভব হবে না ঐ বিদ্যালয়ে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শুকুর আলম আজাদ বলেন, টিনসেড দু‘টি একাডেমিক ভবন সম্পূর্ণ চলে গেছে পানির তোড়ে। আসবাবপত্র, কাগজপত্র বই কিছুই সরানো সম্ভব হয়নি আকশ্মিক পানি আসায়। রোয়ানুর আঘাতে বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ লাক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। এ ছাড়া একই এলাকায় সতরুদ্দীন তালেমূল কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে বলে শিক্ষক মো. ইসমাঈল জানান।

উত্তর ধুরুং বেড়িবাধঁ সংলগ্ন গাউছিয়া দাখিল মাদ্রাসা,ফয়জানি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পেয়ারাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ ইউনিয়নে ১৫টিসহ উপজেলায় মোট ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উপজেলা প্রকল্প কর্মকতা সৌভ্রাত দাস জানিয়েছেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রজব আলী জানান, প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহি অফিস জেলা শিক্ষা অফিস সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব অধিক ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামতে তারা কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন