parbattanews

কুতুবদিয়ায় টিকার দ্বিতীয় ডোজে আগ্রহ নেই

ফাইল ছবি

কুতুবদিয়ায় করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিতে টিকা গ্রহীতাদের আগ্রহ নেই খুব একটা। প্রথম ডোজ নেয়ার জন্য যেভাবে হুমড়ি খেয়ে পরেছিল সেভাবে প্রভাব পরেনি ভারতীয় টিকার দ্বিতীয় ডোজে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে ব্যাপক প্রচারণার পর ভারতীয় প্রথম চালানের টিকা প্রথম ডোজ নেয়ার পর টিকা স¦ল্পতায় দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ থাকে। ফলে এক হাজার ৫ শত ৮০ ডোজ ঘাটতি থেকে যায়। দীর্ঘ দিন পর টিকা এলে গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়। সোমবার ( ১৬ আগস্ট) ৩ কর্মদিবসে মাত্র ৭৮০ জনে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেন। এখনো বাকি রয়েছে আরো ৮০০ ডোজ।

অপর দিকে গত শনিবার থেকে চীনের সিনোফার্মের টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ টিকার দ্বিতীয় ডোজের গ্রহীতা ছিল মাত্র ১৩০ জন। দুই কর্মদিবসে (শনিবার,সোমবার) টিকা নেয় ১১৬ জনে। বাকি রয়েছে আরো ১৪ জন।

এ দিকে টিকা গ্রহণের কার্ড ছাড়া যানবাহন সহ বিদেশ গমণে জটিলতার কথা সরকারি ভাবে জানানোর পর প্রথম ডোজ নিতে দ্বীপের নারী-পুরুষ টিকা গ্রহণে ঝাঁপিয়ে পরে। সামাল দিতে পুলিশের আশ্রয় নিতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। প্রতিদিন ভোর থেকে হাজির হয় হাসপাতালে। আগ্রহীরা নিবন্ধন করেও অনেকেই সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ফিরে গেছে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরুর পর থেকে প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করা হলেও প্রতিদিন ভিড় জমায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান ছৈয়দ কামরুল হাসান বলেন, প্রথম ডোজ নিতে যতটা আগ্রহ রয়েছে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণে তেমনটা নেই। ভারতীয় দ্বিতীয় ডোজে প্রচারণা চালিয়ে প্রথম দিন কয়েক শ‘ গ্রহীতা এলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে ৫০-৬০ জন নিয়েছে। এখনো ৮০০ ডোজ বাকি আছে। অবশ্য চীনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহীতা মাত্র ১৩০ জন ছিল। প্রথম ডোজ নেয়ার পর টিকা ঘাটতির দরুণ অনেকের মাঝে গাফেলতি আসায় এমনটি হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। যারা দ্বিতীয় ডোজ এখনো নেয়নি জটিলতা এড়াতে তাদের দ্রুত টিকা গ্রহণ করে কার্ড সংগ্রহের আহ্বান জানান তিনি।

Exit mobile version