parbattanews

কুতুবদিয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ: হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগী

কুতুবদিয়ায় শীতের আগমনের শুরুতেই ডায়রিয়া বিশেষ করে শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে সিটে শুধু ডায়রিয়ার রোগী। একজন রিলিজ হবার আগেই সেই সিটে আরেকজন ভর্তি হচ্ছে। বা মেঝেতেই ঠাঁই হচ্ছে অনেকের।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত আগত ১৪ রোগীর মধ্যে ১১ জনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে ৬ জন শিশু। একইভাবে গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) আগত ২১ রোগীর মধ্যে ১৩ জনই ডায়রিয়ার রোগী । যার মধ্যে ৯টি ছিল শিশু ডায়রিয়া রোগী।

গত দেড় দিনেই এসেছে ২৭ জন ডায়রিয়ার রোগী। দক্ষিণ ধুরুং মুছা সিকদার পাড়ার মো. ফারুক জানান, হঠাৎ তার শিশুর ডায়রিয়া শুরু হয়। দ্রুত হাসপাতালে এনে ভর্তি দেয়ায় এখন কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। বেশির ভাগ ঔষধ বাহির থেকে এনে চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

প্রতিবছর নভেম্বর মাস এলেই শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। এসময়টায় প্রচুর ডায়রিয়া প্রতিরোধে ইনজেকশন স্যালাইন প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে সে তুলনায় সরবরাহ কম দেয়া হয়।

এদিকে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি ঔষধের মধ্যে বিশেষ করে প্রধান চিকিৎসার ইনজেকশন স্যালাইনের সংকট চলছে। অমজাখালী গ্রামের মো. সাঈদির স্ত্রীকে শুক্রবার রাত ২টায় ডায়রিয়া-বমি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপতাল গেইটে রাতে কোন ফার্মেসি খোলা না থাকায় ইনজেকশন স্যালাইন সহ প্রযোজনীয় ঔষধ কিনতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল হাসান বলেন, নভেম্বর মাসে শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। শিশুদের অপরিচ্ছন্ন খাবার ও নোংরা পরিবেশ রোধ করে ডায়রিয়া কমানো যায়। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ শিশু ডায়রিয়া রোধে বেসরকারি সংস্থা কোষ্ট এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যে একটা চুক্তিও তারা করেছিলেন। করোনাকালীন তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ডায়রিয়ায় ব্যবহৃত ইনজেকশন স্যালাইনসহ এন্টিবায়োটিক ঔষধ সরবরাহে আবার লিখেছেন বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version