parbattanews

জ্বালানী তেলের মূল্য হ্রাসের প্রভাব পরেনি কুতুবদিয়ার জনজীবনে

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় জ্বালানী তেলের দাম কমলেও সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। পরিবহণ সেক্টরসহ অন্যান্য সংশ্লিস্ট সেক্টরগুলোতে দাম কমার লক্ষণ নেই। ফলে সরকারি সিদ্ধান্তে সুবিধা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ১০ দিন হলো জ্বালানী তেলে দাম কমিয়েছে সরকার। ডিজেল, কেরোসিনে লিটার প্রতি ৩ টাকা, অকটেন, পেট্রোল লিটার প্রতি ১০ টাকা দাম কমেছে। উপজেলায় যানবাহনসহ ফিশিং বোটগুলোতে ডিজেল ব্যবহৃত হয় বেশি। ডিজেলে মাত্র ৩ টাকা দাম কমিয়েছে সরকার। এলাকার খুচরা অনেক দোকানে এখনো আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। মূল্য কমার পর প্রতি লিটার ৬৭ টাকা দরে বিক্রি করা কথা থাকলেও তা আগের মূল্য ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা যায়। ডিলার কিংবা পাইকারি দোকানে ভাংতির অজুহাতে দু‘টাকা কমে বিক্রি করছেন ৬৮ টাকায়।

যমুনা অয়েল কোম্পানীর স্থানীয় ডিলার ধুরুং স্টোরের মালিক এসএম মনজুর আলম বলেন, প্রতিমাসে ডিজেল কেরোসিন মিলে কপক্ষে দেড়‘শ ব্যারেল বিক্রি হয়ে থাকে। পাইকারি বিক্রিতে ৬৭ টাকা এবং খুচরা বিক্রি করতে গেলে ভাংতি বিড়ম্বনায় কখনো ৬৮ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া অকটেন, পেট্রোল লিটার প্রতি ১০ টাকা কমেই বিক্রি করছেন বলে তিনি জানান।

অপর দিকে জ্বালানী তেলের দাম কমলেও নিত্যদিনের পরিবহণ ভাড়া কমেনি এক টাকাও। জিপ, টেম্পো, টেক্সি, বোট ভাড়া আগের নিয়মেই চলছে বলে যাত্রীরা জানান। উপজেলা সদর বড়ঘোপ থেকে আজম সড়কে ধুরুং বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটারে টেক্সি ভাড়া ৩০ টাকা।

এক টেক্সি চালক বলেন, ৭ কিলোমিটারে আধা লিটার পেট্রোল লাগে। সে হিসেবে ৫ টাকার জ্বালানী কম লাগলেও ৫ টাকা ভাড়া কমাতে পারছেন না তারা। একই রুটে জিপ ভাড়া ২০ টাকা। ৭ কিলোমিটারে ২ লিটার ডিজেল লাগে। লিটারে ৩ টাকা কমায় ৬ টাকা খরচ কম হলেও জিপ ভাড়া এক টাকাও কমানো হয়নি।

কারণ হিসেবে কুতুবদিয়া জিপ মালিক সমিতির সেক্রেটারি নুরুল আনছার চৌধুরী বলেন, বড়ঘোপ টু ধুরুং বাজার পর্যন্ত ৬ টাকার তেল কম গেলেও ভাড়া কমানো যাচ্ছে না। কমাতে গেলে কমপক্ষে ২ টাকা কমাতে হবে। সেক্ষেত্রে যাত্রীবাহি জিপে গড়ে ২০ জন যাত্রী থেকে ৪০ টাকা কমে যাবে। যে কারণে আগের চেয়ে ৩৪ টাকা লোকসান গুনতে হবে বিধায় তারা ভাড়া কমানোর পক্ষে নন। এ ছাড়া যাত্রীবাহি জিপে যাতায়াতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় তাদের কাছ থেকে নাম মাত্র ভাড়া আদায় হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Exit mobile version