কুতুবদিয়ায় পিইসি পরীক্ষায় আনন্দ স্কুলের প্রক্সির ছড়াছড়ি

fec-image

কুতুবদিয়ায় চলতি পিইসি পরীক্ষায় আনন্দ স্কুলের পরীক্ষার্থীর অধিকাংশই প্রক্সির আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছে স্কুলের শিক্ষকরা। অনেক শিক্ষার্থীই পুরো ৫ বছর দৈত স্কুলে পড়ার অভিযোগও রয়েছে।

৬ ইউনিয়নে ৬টি কেন্দ্রে ৫২ আনন্দ স্কুলের ৯০৫ জন পরীক্ষার্থীর মাঝে অংশ নিচ্ছে ৭৪৬ জন। প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির অনেক শিক্ষার্থীই প্রক্সি দেয় আনন্দ স্কুলের পরীক্ষার্থীর হয়ে। ২য় দিন সোমবার বাংলা বিষয়ে উত্তর ধুরুং ছমদিয়া আলীম মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ধরণের প্রক্সির অভিযোগে অন্তত ১০ জন আনন্দ স্কুলের পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।এ কেন্দ্রে ১৪টি আনন্দ স্কুলের ২২৫ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।

কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবু মুছা বলেন, আনন্দ স্কুলের পরীক্ষার্থীর হয়ে প্রক্সি দেয়া ছাত্র-ছাত্রীরা তার মাদ্রাসার ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির পড়ুয়া বিধায় তাদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। হল সুপার প্রধান শিক্ষক ছরোয়ার আলম তিনিও জানান, অপরিচিত অনেক শিক্ষার্থীই আনন্দ স্কুলের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অভিযোগ পাচ্ছেন। তবে তাদেরকে সনাক্তও করা যাচ্ছেনা।

প্রথম দিন রবিবার কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দক্ষিণ মুরালিয়া আনন্দ স্কুলের পারভীন আক্তার ও রুনা আক্তার নামের দু‘ছাত্রী হলে এসেও পরীক্ষা দিতে না পারায় কান্নাকাটি করে বের হলে বিষয়টি ধরা পড়ে। প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ওই ছাত্রীরা নিয়মিত বৃত্তি সহ যাবতীয় সুবিধা নেয়। পরীক্ষা ফিও দেয়।তাদেরকে প্রবেশ পত্র নিতে আসতে বলা হয়। ওই স্কুলের শিক্ষক বেবী আক্তার তাদের রেজিস্ট্রেশন না করে অন্য দু‘জন মো. খোকন ও জেসমিন আক্তারের নামে রেজিস্ট্রেশন করে। খোকন ও শাহীন আক্তার নামের দু‘জন পরীক্ষা দিতে আসে। মো. খোকন আলী আকবর ডেইল হাই স্কুলের ৭ম শ্রেণির ও শাহীন আক্তার জামিউল উলুম মাদ্রাসার জেডিসি পরীক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

উপজেলা রস্ক প্রকল্পের ট্রেইনার মো. সিরাজুল ইসলাম বেশ কিছু পরীক্ষার্থী প্রক্সির অভিযোগ তিনি স্বীকার করে বলেন, এগুলো সংশ্লিষ্ট আনন্দ স্কুলের শিক্ষকরা অনিয়ম করে থাকতে পারেন। তাদের পাঠানো তালিকাগুলোই রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। প্রবেশ পত্রে স্বাক্ষর ছবিতে সিল রয়েছে। কোন শিক্ষক এ ধরণের কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, তিনি নিজেও দু‘জন ভূয়া পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন। আরও থাকতে পারে। আনন্দ স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সনাক্ত করতে হলে স্কুলের নিজস্ব ড্রেস পড়ে আসার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কুতুবদিয়ায়, পিইসি পরীক্ষায়, প্রক্সি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন