parbattanews

কুতুবদিয়ায় পুকুরে ডুবে দেড় মাসে ১৩ শিশুর মৃত্যু

কুতুবদিয়ায় শুধু পুকুর বা পানিতে ডুবে গত দেড় মাসে ১৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যার গত সেপ্টেম্বর মাসেই মারা গেছে ৭ জন শিশু। আর চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম দিনেই ৩ শিশুসহ ১৮ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছে ৬ শিশু। এভাবেই প্রতিনিয়িত পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে দ্বীপের অবহেলিত পরিবারের শিশুরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে পানিতে ডোবা নিয়ে আসা শিশুদের রেজিস্ট্রার সূত্র থেকে জানা যায়, গত সেপ্টেম্বর মাসেই পানিতে ডোবা ৫ শিশুকে আনা হয়। এদের সবাই স্পট ডেথ ছিল। এ ছাড়া পানিতে ডোবা আরো দু‘টি শিশু প্রানে বেঁচে যায়।

এ মাসের প্রথম দিনেই রিফাত (৪), জান্নাতুল মাওয়া (১), সুমাইয়া (৩) নামের ৩ শিশুর মৃত্যু হয় পুকুরে ডুবে। ৪ অক্টোবর এক শিশুর মুত্যু হয়েছে। ১০ অক্টোবর বড়ঘোপ আরফ সিকদার পাড়ায় নুরশাত (১৪ মাস), ১৭ অক্টোবর বাঁকখালী গ্রামের হাছান (৪), ১৮ অক্টোবর উত্তর ধুরুং মগলাল পাড়ায় মুহাম্মদ (২) পুকুরে ডুবে মারা যায় ।

গতমাসে ২৬ সেপ্টেম্বর উত্তর ধুরুং আকবরবলী পাড়ায় সামিয়া (২৮ মাস), ২৫ সেপ্টেম্বর উত্তর কৈয়ারবিলের আরমান (৩), ১৪ সেপ্টেম্বর বড়ঘোপ বদাইয়া পাড়ার রাফি (১৮ মাস), ১৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ধুরুং আলী আকবর সিকদার পাড়ার নাজিফা (২), ৯ সেপ্টেম্বর লেমশীখালী আফাজ উদ্দিন সিকদার পাড়ার মুস্তাফিজুর (৬)। এছাড়া উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে একই পরিবারে দুই শিশু পুকুরে ডুবে মারা গেলে হাসপাতালে না এনেই স্থানীয়ভাবে দাফন করে বলে ওই পরিবারের আত্মীয় সালমা বেগম জানান।

দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, বেশিরভাগ পরিবারে অপরিকািল্পত পুকুর বা ডোবা খনন আর অভিভাবকদের সচেতনার অভাবেই পানি ডুবিতে শিশুর মৃত্যুর হার ক্রমেই বাড়ছে কুতুবদিয়ায়। এটি রোধে মা-বাবার সচেতনা বৃদ্ধির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: রেজাউল হাসান বলেন, পানি ডুবিতে আগত শিশুদের সিংহভাগই ১ থেকে ৫ বছরের নিচে। এসব শিশুরা মায়েদের বা অভিভাবকের তত্বাবধানে থাকার কথা। মা-বাবার অবহেলা আর সচেতনা না থাকায় মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বাড়ির পুকুরগুলোতে নিরাপত্তা ঘেরা বেড়া থাকা জরুরী। এ ছাড়া জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিশু বান্ধব বিভিন্ন সংগঠনের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।

Exit mobile version