parbattanews

কুতুবদিয়ায় পুর্ণিমার জোয়ারেই তলীয়ে গেল গোটা ইউনিয়ন

কুতুবদিয়ায় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে সাগরের পানি ঢুকে তলীয়ে গেল উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন। পুর্ণিমায় অতিরিক্ত জোয়ারে অরক্ষিত ভাঙা বেড়ি বাঁধের ৫ পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করছে লোনা পানি।

এক দিনেই সয়লাব ইউনিয়নের ৫ শতাধিক কাচা বাড়ি। দীর্ঘ দিন ধরে ওই ইউনিয়নে খোলা আর ভাঙা বাঁধ মেরামত শেষ হচ্ছেনা। ফলে অতিবৃষ্টি আর অস্বাভাবিক জোয়ার শুরু হলেই আতংকিত হয়ে পড়ে ২০ হাজার মানুষ।

বেড়িবাঁধ সংলগ্ন পশ্চিম চর ধুরুং গ্রামের মোজাফ্ফর, মোহাম্মদ হোছাইন, ইয়ার মোহাম্মদ জানান, এক দশক ধরে ওই এলাকার ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামত শেষই করতে পারছেনা। তলীয়ে যাওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে মেরামত হয়। আবার জোয়ার এলেই তার সাগরে বিলিন হয়ে যায়।

গতকাল থেকে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি অনুদানের মোজাফ্ফরের টিনের ঘরটিও লণ্ডভণ্ড হয়ে ভাসছে পানিতে। আরো আগামী ৩ দিন থাকবে এই এই অস্বাভাবিক জোয়ার। তাদের আশঙ্কা গরু, ছাগল, হাঁস মুরগি নিয়ে তারা পানিতে ভাসমান হয়ে যাবার। দেখা দিচ্ছে খাবারের অভাব।

উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আসম শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, মাসে দু‘বার জোয়ারের পানি প্রবেশ করে পুরো ইউনিয়নে। ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামত যেন এখন ইউনিয়ন বাসির জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

ঠিকাদারদের অবহেলা আর অসময়ে মেরামত কাজ করায় আবার বিলিন হয়ে যায় সাগরেই। চলতি পুর্ণিমার জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ছোট-বড় ৫ টি পয়েন্ট দিয়ে অবিরাম পানি প্রবেশ করছে। তলীয়ে গেছে পুরো ইউনিয়ন। বাসিন্দারা মালামাল, গবাদি পশু সরাবার সুযোগই পাচ্ছেনা।

Exit mobile version