parbattanews

কুতুবদিয়ায় লবণের দরপতনে হতাশ চাষীরা

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় হঠাৎ লবনের দরপতনে বিপাকে পড়েছে লবন চাষিরা। একই সাথে বেশি দামে লবন ক্রয় করে কম দামে বিক্রি করায় লোকসানে ব্যবসায়িরাও। আচমকা মণে সাড়ে ৪‘শ থেকে নেমে গেছে ২৩০ টাকায়।

চলতি বছরে উপজেলার দ্বিতীয় আয়ের প্রধান উৎস লবন উৎপাদনে দামে ছিল বেশ চাঙা। মনপ্রতি ৫৪০ টাকায় বিক্রি হতো। চাষের শুরু থেকে ফেব্রæয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চাষিরা মাঠে লবনের দাম পেত ৪৫০ থেকে ৫‘শ টাকা। চড়া দামে জমির লাগিয়ত মূল্য, শ্রমিক ও পলিথিন খরচ বাড়লেও দামে খুশি ছিল চাষিরা। হঠাৎ দরপতনে লোকসানে পড়তে হয়েছে চাষি-ব্যবসায়িদের।

উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের লবন চাষি আবুল হোসেন বলেন, দাম ভাল্ইো ছিল শুরু থেকেই। অজ্ঞাত কারণে লবনের দরপতনে তারা হতাশ। ৫‘শ থেকে আড়াই‘শ টাকা নেমে গেছে প্রতিমণে। এছাড়া মরার উপর খরার ঘা হিসেবে এক সপ্তাহ যাবত ঘন কুয়াশা থাকায় মাঠে লবনও উঠছে কম। মওসুম শেষে ৬ মাসে প্রতি একরে অন্তত ৭৫০ মণ লবন উঠে থাকে। এবার ৫‘শ মণ হবে কিনা তারা সন্দিহান।

দক্ষিণ ধুরুং সিকদার পাড়া মাঠের চাষি আব্দু রহিম বলেন, দু‘দিনের ব্যবধানে লবনের দামে বিপর্যয় নেমে আসার কারণ তারা বুঝতে পারছেন না। লবন ব্যবসায়িদের মাধ্যমে তারা লবন বিক্রি করে থাকেন। তারা যখন যেমন বলেন তেমনই শুনতে হয়। নারায়নগঞ্জ,খুলনা,চট্টগ্রামে লবন টানছেনা-এমন অজুহাতে দামের ওঠা-নামা হয়ে থাকে। এভাবে হঠাৎ অর্ধেক দাম কমে যাওয়ায় তাদের লোকসান গুনতে হবে বলে জানান তিনি।

লেমশীখালী ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, গত ৩ দিন আগেও মাঠে লবনের দাম ছিল প্রতিমণ ৩৬০ টাকা। দু‘দিনের ব্যবধানে এযেন আকাশ দরপতন। এখন মাঠে মণে ২৩০-২৪০ টাকা চাষিদের দেবে বলে জানান তিনি।

দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের ধুরুংকাঁচার লবন ব্যবসায়ি মোহাম্মদ ইছহাক বলেন, গত ৩ দিন আগে প্রায় ১৫ হাজার মণ লবন ভর্তি কার্গোবোট নারায়নগঞ্জ মিলে নেয়া হলে প্রতিমণ লবনে ১৫০- ২০০ টাকা করে কমে দিতে হয়েছে। এতে তার অন্তত ২০ লক্ষ টাকা লোকসান দিতে হয়েছে। লবনের উৎপাদন বেশি আর চাহিদা কম থাকায় এমন হঠাৎ দরপতন বলে তিনি জানান।

Exit mobile version