parbattanews

কুতুবদিয়ায় ১ লক্ষ ৮৯ হাজার মে. টন লবণ উৎপাদন

কুতুবদিয়ায় চলতি ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মৌসুম শেষে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ায় কয়েক দফা লবণ উৎপাদনে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে এবার উৎপাদনও হয়েছে কম।

উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৬ হাজার ৫৯০ একর জমিতে লবণ চাষ করেছে চাষিরা। সমপরিমাণ জমিতে গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ২ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এবার ৫০ হাজার মেট্রিক টন লবণ কম উৎপাদন হয়েছে বলে স্থানীয় লেমশীখালী লবণ প্রদর্শনী কেন্দ্র (বিসিক) থেকে জানা যায়।

মধ্যম কৈয়ারবিল লবণ মাঠের চাষি শাহ আলম এবং লেমশীখালী ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম জানান, মে মাসের শেষেই লবণ উৎপাদন শেষ। একর প্রতি ৭০০ মণ লবন উৎপাদন হলেও দাম মন্দা ছিল পুরো মৌসুমেই। জমি লাগিয়ত‘সহ লবণ শ্রমিকের বেতন খরচ সবই দ্বিগুণ হয়েছে। কয়েক দফা বৃষ্টি তুফানে মাঠ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পিছিয়ে যায় লবণ উৎপাদন।

সর্বোপরি দামেও মন্দা। বর্তমানে মণ প্রতি চাষিরা ১১০ টাকা পাচ্ছে। করোনার প্রভাবে বিক্রি করাও যাচ্ছেনা। লবণ ব্যবসায়ীরা অনিহা প্রকাশ করেন।

লেমশীখালীর লবণ ব্যবসায়ী বাবুল বলেন, উৎপাদন ভাল হলেও তারা লবণের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। তারা মণপ্রতি ১৪০ টাকা দিলেও বিভিন্ন খরচ বাদে মাঠে চাষিরা পায় ১০০-১১০ টাকা। মাঠেই পড়ে আছে হাজার হাজার মণ লবণ। পরিবেশ ভাল না হলে তারা মারাত্বক ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানান।

স্থানীয় বিসিক এর পরিদর্শক ও কেন্দ্র প্রধান জাকের হোছাইন জানান, সাধারণত উপজেলা ভিত্তিক লবণ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়না। তবে গত বছরের চেয়ে এবার অন্তত ৫০ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদণ কম হয়েছে। এটি বৈরি আবহাওয়া আর করোনার প্রভাবে চাষ ব্যাহত হয়েছে। অপরদিকে দামেও মন্দা কাটছেনা চলতি মৌসুমে।

Exit mobile version