parbattanews

কুতুবদিয়ায় ব্যাটারি চালিত রিক্সা বেপরোয়া

Riksa (1) copy

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় প্রায় ৩‘ শ ইঞ্জিন ও ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিক্সা চলছে বেপরোয়াভাবে। যে কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দ্রুত গতির ব্যাটারি চালিত ও ইঞ্জিন ব্যবহৃত রিক্সা যত্রতত্র পরিবহনে যাত্রীবাহি জিপ, টেম্পো, টেক্সি চলাচলেও মারাত্বক বিঘ্ন ঘটার অভিযোগ করেছেন অনেকে। গত মঙ্গলবার ধুরুংবাজারের পার্শ্বে,বড়ঘোপ বিদ্যুৎ মার্কেট এলাকাসহ একই দিনে ৫টি রিক্সা দুর্ঘটনা ঘটে।

এতে কমপক্ষে পৃথক ঘটনায় ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়। বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম ও মহা সড়কে ব্যাটিারি চালিত রিক্সা ও অটো রিক্সা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঐ সব রিক্সা কুতুবদিয়ায় আমদানী হতে থাকে। অবিশ্বাস্য যে গত দু‘মাসেই উপজেলায় ব্যাটারি চালিত রিক্সা আসে আড়াই শতাধিক। এ ছাড়া সাধারণ রিক্সায় ডিজেল চালিত মেশিন লাগিয়ে অটো রিক্সা নামধারী রিক্সা তৈরি হয় আরো কমপক্ষে ৪০ টি। সব মিলিয়ে সাধারণ রিক্সার কদর কমে গিয়ে এখন ইঞ্জিন চালিত ও ব্যাটারি চালিত রিক্সার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩‘শ তে। এ সব রিক্সা উপজেলার প্রধান সড়ক আজম রোড সহ প্রত্যন্ত শাখা সড়কগুলোতে চলাচল করছে বেপরোয়া ভাবেই। এমনটি জানান সাধারণ যাত্রী ও জিপ টেক্সির চালকেরা।

জিপ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সেক্রেটারি কেফায়েত উল্লাহ টেক্সি চালক রহমত উল্লাহসহ অনেকে জানান, ইঞ্জিন ও ব্যাটিারি চালিত রিক্সাগুলো প্রধান সড়কে দ্রুত গতিতে যাতায়াত করায় যাত্রীবাহি জিপ, টেম্পো ও টেক্সি চলাচলে মারাত্বক ঝুঁকিও বাড়ছে, দুর্ঘটনাও বাড়ছে। এ ছাড়া এ সব রিক্সায় প্রতি দিন চার্জ দেয়ার প্রয়োজন হয়।

উপজেলা সদরে প্রাইভেট জেনারেটরে কিছু চার্জ দেয়া হলেও সরকারি বিদ্যুতে চোরাই সংযোগেও চার্জ হয় বলে কেউ কেউ মনে করেন। ধুরুং বাজারে বিতরণকৃত গ্রিন হাউজিং এনার্জি লি এর বিদ্যূতে অন্ততঃ অর্ধশত রিক্সার চার্জ চলে। এতে সাধারণ গ্রাহকরা ঠিকমত বিদ্যৎ না পাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ সব রিক্সা বড় শহরে অবৈধ হলেও এখানে এসে কোন অনুমোদন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের লাইসেন্স ছাড়াই বিশেষ ব্যবস্থায় বৈধ হয়ে যাচ্ছে।

কুতুবদিয়া রিক্সা শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রমিজ বলেন, ব্যাটারি চালিত রিক্সা সমিতিতে তালিকাভূক্ত হতে প্রায় ৫০ জন চালক ফরম নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে সমিতির তালিকাভূক্ত হয়নি বলে জানান।

কুতুবদিয়া জিপ মালিক সমিতির সেক্রেটারি নুরুল আনছার চৌধুরী বলেন, ইঞ্জিন ও ব্যাটারি চালিত রিক্সা বেপরোয়া ভাবে চলায় প্রধান সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। সাধারন রিক্সার চেয়ে হঠাৎ আমদানি করা ব্যাটারি চালিত রিক্সা অবাধে চলায় আজম সড়কে যাত্রীবাহি জিপসহ অন্যান্য যানবাহন যাতায়াতে মারাত্বক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে চালকরা অভিযোগ করছেন।

এ ছাড়া আজম সড়কে প্রধান প্রধান স্টেশনে যত্রতত্র ওইসব রিক্সা দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে। যার দরুণ সড়কে জিপ চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এ সব অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সা তুলে দিতে অথবা যে সব রুটে জিপ, টেক্সি, টেম্পো চলাচল করেনা ঐ সব রুটে চলাচল করার জন্যে প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি।

Exit mobile version