parbattanews

কুতুবদিয়ায় ৪৬ বছর পর সুধন্ব্যা-অনন্ত বালার বধ্যভূমি চিহ্নিত

কুতুবদিয়ায় স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদারের গুলিতে নিহত সুধন্ব্যা কৈবর্ত্ত্য দাশ ও অনন্ত বালাকে পুড়িয়ে হত্যার বধ্যভূমি চিহ্নিত করা হয়েছে।

উপজেলা সদর বড়ঘোপ স্টিমার ঘাটের পাশে স্থানীয় শ্বসানের নিকট এ বধ্যভূমি সনাক্ত করা হয় গত বছর। মুক্তিযুদ্ধের সময় দ্বীপ কুতুবদিয়ায় পাক হানাদাররা ৩ জনকে হত্যা করলেও দীর্ঘদিন তাদের বধ্যভূমি চিহ্নিত করা যায়নি বা উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ভোলা নাথ জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় স্থানীয় কিছু রাজাকার জেলা সদর থেকে এ দ্বীপে পাকবাহিনী আমদানি করে। তারা প্রথমেই বিচ্ছিন্নভাবে সংখ্যা লঘুদের উপর চড়াও হয়। বড়ঘোপ জেলে পাড়ার সুধন্ব্যা কৈবর্ত্ত্য দাশকে সমুদ্র সৈকতের কোমড় পানিতে নামিয়ে গুলি করে হত্যা করে। একই এলাকার বাসিন্দা অনন্ত বালাকে তার বাড়িতে ঘরে তালাবদ্ধ করে আগুন লাগিয়ে পুৃড়িয়ে হত্যা করে পাক সেনারা। কৈয়ারবিল নাথ পাড়ার নিরানন্দ নাথ নামের আরও একজন সংখ্যা লঘুকে গুলি করে মেরে সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আলী আকবর ডেইল ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ্ছাফা বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কুতুবদিয়ায় ৩ জন সংখ্যা লঘুকে পাক সেনারা নির্মমভাবে হত্যা করে। দীর্ঘদিন পরে হলেও তাদের দু‘জনের বধ্যভূমি চিহ্নিত করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিক উপস্থিত থেকে সুধন্ব্যা কৈবর্ত্ত্য দাশ ও অনন্ত বালার বধ্যভূমি সনাক্ত করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন। কৈয়ার বিল পাড়ার নাথকে হত্যা করে সাগর তীরে ভাসিয়ে দেয়া হয়। সে জায়গাটি সমুদ্রে বিলীন হওয়ায় তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া তখন উপজেলার ১৭ জন সংখ্যা লঘু হিন্দুকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়। অবশ্য তাদের অনেকই পরে নিজ ধর্মে ফিরে আসেন। স্থানীয় স্বাক্ষ্যমতে স্বাধীনতার সময় বিভিন্ন গ্রামের ৮ জন নারী ধর্ষিত হন। শতাধিক বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয় বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version