কুতুবদিয়ায় ৭ দিনে ১০৯ মামলা
কুতুবদিয়ায় চলমান করোনা পরিস্থিতির দরুণ পহেলা জুলাই থেকে আরোপিত লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন ছিল তৎপর। উপজেলা নির্বাহি অফিসার, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড যৌথ টহল ও নিরাপত্তার মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। নিষেধাজ্ঞা সত্বেও যানবাহন বের করা, মাস্ক ব্যবহার না করা, বিধি নিষেধ উপেক্ষা করায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহি অফিস সূত্র জানায়, গত ৭ দিনে অর্থাৎ ১ লা জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৫০ টাকা অর্থদণ্ড দেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট নুরের জানাম চৌধুরী। মালবাহি ট্রলীতে অতিরিক্ত লবণ বোঝাই দেয়ায় মোবাইল কোর্টের জরিমানা গুণতে হয়েছে এই লকডাউনে। পাশা পাশি মোবাইল কোর্টের মোট মামলা হয় ১০৯টি।
কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হলেও আস্তে আস্তে সাধারণ মানুষ রাস্তায় বের হওয়া বাড়িয়ে দেয়। ফলে যানবাহন বিশেষ করে ব্যাটারী চালিত রিক্সা ও সিএনজি পরিবহণ প্রধান সড়কে বাড়তে থাকে। প্রশাসন বা পুলিশ বের হচ্ছে-এমন খবর পেলেই সরে যায়। আবার রাস্তায় নেমে পড়ছে মানুষ-পরিবহণ। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, করোনার ভয়ে মাস্ক ব্যবহার করে না, মাস্ক ব্যবহার করে প্রশাসনকে দেখে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার নুরের জামান চৌধুরী সংবাদকর্মীদের বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন সর্বাত্বক চালিয়ে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট জেটিঘাট সহ বড় বাজারগুলোতে পুলিশী পাহারা রয়েছে। এ ছাড়াও নিয়মিত পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে প্রতিদিনই। জনগণের স্বার্থেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় প্রয়োজনে আরো কঠরতা অবলম্বল করতে হতে পারে বলে জানান তিনি।