কুতুবদিয়ায় ঈদে চ্যানেল পারাপারে বিশেষ ব্যবস্থা
কুতুবদিয়া-মগনামা চ্যানেল পারাপারে আসন্ন ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মগনামা ঘাট হয়ে দ্বীপ কুতুবদিয়ার ৫টি জেটি ঘাটের মধ্যে পারাপার বেশি হয় বড়ঘোপ জেটি ও দরবার জেটিঘাট। আলী আকবর ডেইল টি, ধুরুং জেটি ও আকবরবলী পাড়া ঘাটে যাত্রী পারাপার অতি নগন্য্য। ফলে
কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই ঘাটেই চাপ বেশি। সাধারণত কুতুবদিয়া থেকে বড়ঘোপ ঘাটে সর্বশেষ রাত ৭টা পর্যন্ত। মগনামা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘাট পারের সুযোগ থাকে। সকালে ও ৭টার আগে ঘাট পারের ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ভিড় সামলাতে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ বড়ঘোপ, দরবার ঘাট ও মগনামা ঘাট পারাপারে বিশেষ উদ্যোগ নেন। দূর পাল্লার গাড়িতে বিশেষ করে দূরে যারা কর্মরত কিংবা ছাত্র-ছাত্রীদের ভোর বেলায় ঘাটে চলে আসতে হয়। যে কারণে ৩ ঘাটেই সকাল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত নিয়মিত পারাপারের বোট চলবে। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্পিডবোট পারের সুযোগ থাকবে পাশাপাশি।
চট্টগ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার বড়ঘোপ ঘাটে পার হওয়া যাত্রী মো. সেলিম জানান, প্রায়ই সকালে ঘাটে আসলে পারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। মগনামা ঘাটে সকাল ৭টায় নিয়মিত বোট ছাড়া হলে ভোগান্তি অনেকটা কমে যেত। শুধু ঈদ উপলক্ষে পারাপারে বাড়তি উদ্যোগ নিলে হবে না। বড়ঘোপ ঘাটের মত মগনামাতেও সকাল ৭টায় বোট ছাড়ার দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া স্পিড বোটে ১২০ টাকা ভাড়া অতিরিক্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বড়ঘোপ, দরবার-মগনামা ঘাট ইজারাদার কামরুল হাসান সিকদার বলেন, আসন্ন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার্থে ভোর ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘাটেই নিয়মিত বোট যাতায়াত করবে। দিনের বেলায় স্পিডবোট রয়েছে অন্তত ৭/৮ টি। ভিড় এড়াতে ঘাটে নিরাপত্তকর্মী ছাড়াও আইনশৃংখলা বাহিনী টহলে থাকবেন। রাতের বেলায় পর্যাপ্ত লাইটিং সুবিধাও দেয়া হয়েছে। ঈদের আগের দিন সারারাত বোট চলাচল করবেন বলেও জানান তিনি।