কুতুবদিয়া ধুরুং বাজারে ড্রেন বন্ধের কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত
কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ধূরুং বাজারের সব ক‘টি ড্রেন এখন বন্ধ। ফলে পানি নিষ্কাশন না হওয়া এলাকাবাসীর ভোগান্তি বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের গাফেলতির কারণে এমন দশা বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় সাত শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা কেন্দ্র ধুরুং বাজারের প্রায় সবক‘টি নালা নর্দমা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধান প্রধান ৪টি রাস্তায় নির্মিত ড্রেনের উপর দোকানের সামনে দখল করে স্থাপনা বাড়িয়ে নিয়েছে ব্যবসায়িরা। যে কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়েই গেছে। সবজি মার্কেট,মাছ ও মাংসের বাজারে ময়লা আবর্জনা ফেলায় ড্রেন বন্ধ রয়েছে। ডেন্র গুলো পরিষ্কারে কোন পদক্ষেপ নেই ইজারাদারের। পুরো বাজারের পানি গড়িয়ে পড়ে কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
কাঁচা বাজারে একটি বড় ডাস্টবিন থাকলেও সেখানে কেু ময়লা ফেলেনা। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা মাস্টার জয়নাল আবেদীনের ভারাটিয়া দোকান্দার সেখানে ফুটপাত দখল করায় ডাস্টবিনে যাওয়ার পথ বন্ধ। তার কাছ থেকে ইজারাদার প্রতিদিন ১৫ টাকা আদায় করেন বলে দোকানের কর্মচারি জানান। পাশেই মোবারক নামের দোকান্দার ড্রেনের উপর সরকারি জমিতে ঘর তুলে ব্যবসা করছেন। সবজি ব্যবসায়ি শাহনেওয়াজ সহ কয়েকজন ব্যবসায়ি বলেন,বছরে দু‘বার নালা পরিষ্কার করেন ইজারাদার। এর জন্য প্রতি দোকান থেকে ২০ টাকা মেশিন খরচও নেয়া হয় বলে তারা জানান। বাজার পরিচ্ছন্নতায় ইজারাদার কর্তৃক নিয়োগকৃত শ্রমিক নুরুচ্ছবি বলেন, পুরো বাজারে মাত্র ১ জন কর্মী। যা দিয়ে মোটেও পুরো কাজ করা সম্ভব নয়। বাজারে ঔষধ ব্যবসায়ী কাইছার উদ্দিন বলেন, পুরো কাঁচা বাজারের প্রধান ড্রেনে ময়লা আবর্জনা ফেলায় বন্ধ হয়ে গেছে পানি চলাচল। একই কথা বলেন সেখানকার হাশিল আদায়কারী মো. রিদুয়ান।
তিনি বলেন, সবজি ব্যবসায়ীরা অবিক্রিত পচাঁ সবজি, ময়লা দুরে না ফেলে ড্রেনের ভিতরে ফেলায় দ্রুত বন্ধ হয়ে যায় পানি নিষ্কাশন। বার বার তাগিদ দিয়েও ফল হচ্ছে না। এ ছাড়া মাংস ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই না করে বাজারের ভেতরে জবাই করায় বর্জ্য, গোবর ইত্যাদিতেও নালা বন্ধ হয়ে যাবার কথাও জানান তিনি।
যমুনা অয়েল কোম্পানীর ডিলার এসএম মনজুর আলম বলেন, পুরো বাজারের মেইন ড্রেন ও ফুটপাত দখল করে অধিকাংশ দোকানীরা সামনের অংশে দোকান বর্ধিত করেছে। ফলে মাটি কিংবা ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে ড্রেন। সময়মতো পানি নিষ্কাশন হচ্ছেনা।অনেক গলিতে কয়েকদিনের আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায় বলেও জানান তিনি।
বাজারের ইজারাদার হাজী আলম বলেন, নিয়মিত বাজারের ড্রেন পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করেন। তবে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সবজি সহ নানা আবর্জনা ফেলে ড্রেনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে থাকেন। যে সব ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে তা দ্রুত পরিষ্কারে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।