parbattanews

কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনে ৯ প্রাথী

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজার-২ ( কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনে নানা নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত ৯ প্রার্থী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। প্রধান চমকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী  স্বতন্ত্র হিসেবে জামায়াতের এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ পেলেন আপেল প্রতীক। মহাজোটের নৌকা ধরে রাখলেন বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিক। অপর দিকে আওয়ামী লীগের নেতা মনোনয়ন দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত গণফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে মার্কা নিয়েছেন মাছ। মহাজোটের অন্যতম শরীক জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন।

এ ছাড়া ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ’র মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান  (চেয়ার), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. শহীদ উল্লাহ (হারিকেন), ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ‘র জসীম উদ্দিন (হাতপাখা),বিকল্প ধারার শাহেদ সরোয়ার (কুলা) এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবু ইউছুফ মোহাম্মদ মন্জুর আহমদ মোমবাতি প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন।

এ আসনে নৌকার সাথে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিএনপির সাবেক সাংসদ আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ ধানের শীষ থেকে ছিঁটকে পড়েন। স্বতন্ত্ররূপে জামায়াতের সাবেক সাংসদকে প্রার্থী দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় বিএনপি‘র অনেক নেতা-কর্মীরা। তারা অন্তত: কুতুবদিয়া-মহেশখালীতে যে দলেরই হোক ধানের শীষ প্রতীক আশা করেছিলেন। পেলেন আপেল। চুপসে গেছে নির্বাচনী আমেজ। আর এই সুযোগে নৌকা প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় নেমেছেন নৌকার সমর্থকরা।

মঙ্গলবার ( ১১ ডিসেম্বর) প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আপেলের কোন প্রচারণা চোখে পড়েনি। বিএনপি-জামায়াত ঘাঁটি খ্যাত কুতুবদিয়ায় তাদের প্রিয় প্রতীক না পাওয়ায় এক দিকে যেমন হতাশ নেতা-কমীরা অন্য দিকে উৎসবমুখর পরিবেশও ফেরেনি তাদের কাছে। ফলে প্রচারণাতেও শুরুতে ভাটা দেখছে ভোটাররা।

Exit mobile version