কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতে নষ্ট হচ্ছে লাখ টাকার ঝাউগাছ

fec-image

কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতে পড়ে আছে অগণিত সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের ঝাউগাছ। ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে পড়া অন্তত লাখ টাকার গাছ সংরক্ষণের নেই কোন উদ্যোগ। ফলে চুরি হচ্ছে আর দেবে যাচ্ছে বালির ভেতরে। বর্ষা মৌসুমে গাছগুলো উপড়ে পড়া আর ভেঙে পড়ার প্রবণতা বেশি থাকলেও প্রতিরোধে নেই ব্যবস্থা।

শনিবার (২৫ জুন) সরেজমিন বড়ঘোপ সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, বন বিভাগের সৃজিত ঝাউ বাগানের প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে অগণিত ঝাউগাছ উপড়ে পড়ে আছে মাসের পর মাস। দেখভালের স্থানীয় নৈশকর্মী থাকলেও সর্ষের মাঝেই ভূত।

রোমাই পাড়ার সৈকত এলাকার বাসিন্দা মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে ওছমান গণি জানান, অতিরিক্ত জোয়ারে পানির স্রোতে বালি খয়ে উপড়ে পড়া ঝাউ গাছ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। এ অবস্থায় এগুলো মরে যাচ্ছে আর দুষ্কৃতিরা রাতের আধারে নিয়ে যায়। বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ গাছগুলো শ্রমিক দিয়ে কেটে আলাদা জায়গায় যত্ন করে রেখে নিলামে দিলে প্রায় লাখ টাকা পাবে সরকার। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে ঝাউগাছ আরো বেশি ক্ষতিসাধন হবে। কোন কোন জায়গায় প্রতিদিন ঢেউয়ে ঢেউয়ে বালির ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে পড়ে থাকা গাছ। ক্রমেই মাটির নিচে যাচ্ছে।

বড়ঘোপ সাইট পাড়ার বাসিন্দা আব্দু শুক্কুর জানান, যে সব স্থানে ঝাউগাছ উপড়ে গেছে বা ভেঙে পড়েছে এগুলো অপসারন করে একই স্থানে নতুন করে ঝাউগাছের চারা রোপন করা হলে ধীরে ধীরে মাটি ভরাট হলে রক্ষা হবে বেড়িবাঁধ। নাহলে অচিরেই সৈকতের অর্ধেকটা চলে যাবে সমুদ্রে।

অপর দিকে নৈশকালীন পাহারায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীও নেই। স্থানীয়ভাবে একজনকে দায়িত্ব দেয়া হলেও সে নিজেই গাছ চুরি করায় তাকে বাদ দেয়া হয় বলে এলাকাবাসিরা জানান। এ যেন সরকারি মাল-দরিয়ামে ঢাল’ অবস্থা। তদারকি আর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে লোকসান হতেই থাকবে বন বিভাগের।

স্থানীয় উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জারন শামীম রেজা বলেন, বেশ কিছু ঝাউগাছ পড়ে যাবার বিষয়ে তারা জেনেছেন। বর্ষাে মৌসুমে আরো ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। যে কারণে তারা একই সাথে পড়ে যাওয়া, মরা গাছ সংরক্ষণ করবেন। নিরাপত্তার ঘাটতি থাকায় তারা দু‘জন নাইটগার্ড দেয়ার চিন্তা করছেন। এর আগে গত বছর উপড়ে পড়া, ভেঙে পড়া গাছ নিলামে দেয়ার কথাও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কুতুবদিয়া, ঝাউগাছ, সমুদ্র সৈকত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন