কুমিল্লায় মন্দিরে হামলার ঘটনায় সাজেক থেকে মেয়রের পিএস আটক

fec-image

কুমিল্লায় পূজা মণ্ডপে কোরআন রেখে বিশৃঙ্খলা ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মইনুদ্দিন আহমেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাতে রাঙামাটির সাজেকের একটি রিসোর্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া কুমিল্লা মহানগর যুবদল নেতা রোমান হাসান ও রবিউল ইসলাম নামে আরও দুই জনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ তথ্য রবিবার দুপুর ২টায় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম।

কুমিল্লা কোতোয়ালী থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের দল সাজেকের একটি রিসোর্ট থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, গত ১৩ অক্টোবর পূজা মন্ডপে হামলার পরে পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান বাবু। ওসি জানান, বাবুর বিরুদ্ধে ভাঙচুর নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী পুলিশ অন্যটির বাদী পূজা ব্যবস্থাপনার আহ্বায়ক তরুণ কান্তি মোদক মিথুন।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ জানায়, ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত ও ভাঙচুর সহিংসতার দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একটি মামলার বাদি পুলিশ, অন্যটির বাদি নানুয়াদিঘীর পাড় অস্থায়ী পূজা মণ্ডপের ব্যবস্থাপক তরুন কান্তি মোদক।

তাদের আজ দুপুর আড়াইটায় আদালতে তোলা হয়েছে।

কুমিল্লার নানুয়ার দীঘিপাড়ের পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর শুরুর জন্য মঈনুদ্দীন আহমেদ বাবু নামের এক ব্যক্তিকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী ও মণ্ডপসংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে ফেসবুকেও তাঁর বিরুদ্ধে নানা পোস্ট দেওয়া হয়। ঘটনার সময় তাঁকে উত্তর পাড়ে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। সেখানে কখনো স্লোগান আবার কখনো বিক্ষোভকারীদের থামাতে দেখা যায় তাঁকে।

অভিযোগ ওঠার পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুও সাংবাদিকদের বলেন, বাবু তাঁর ব্যক্তিগত পিএস নন। তবে তিনি প্রায়ই সঙ্গে থাকতেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আটক, কুমিল্লায়, ঘটনায়
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন