কুরবানীতে চাহিদার ফলে ‍পাহাড়ের পশু যাচ্ছে শহরে: বাড়তি মুনাফা পাচ্ছে খামারীরা

Dighinala picture 04-09-2016 copy

দিঘীনালা প্রতিনিধি:

পার্বত্য খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলা বাজারের পাশাপাশি আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দিঘীনালা উপজেলা থেকেও প্রতিদিন শত শত কোরবানীর পশু বিশেষ করে গরু ও ছাগল যাচ্ছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এখানকার গরু এবং ছাগল মুক্ত বিচরণ ক্ষেত্র এবং পাহাড়ি এলাকায় বেড়ে উঠার কারণে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় চাহিদা রয়েছে।

শনিবার উপজেলার বোয়ালখালী নতুন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বড় এবং মাঝারি আকারের প্রায় চার শতাধিক গরু বাজারে উঠেছে। বাজারে প্রতিটি বড় আকারে গরু আশি থেকে পচাঁশি হাজার দরে এবং মাঝারি আকারের গরু পঞ্চান্ন থেকে ষাট হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বেশির ভাগ গরু স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে বাড়তি দর পাচ্ছেন স্থানীয় পশু মালিকেরা।

রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইহাট উপজেলার দেবংস চাকমা জানান, এ হাটের বেশির ভাগই শহরে চলে যায়। তাই এ শনিবার হাটে দুটি ষাঁড় গরু তুলেছি। বাড়তি মুনাফা নিয়ে বিক্রি করেছি।

দিঘীনালা উপজেলার কবাখালী মুসলিম পাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, গত হাটে আমি একটি ষাঁড় গরু বাজারে তুলেছি। ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। তবে বাইরের ব্যবসায়ীরা থাকায় স্থানীয়রা বাড়তি লাভ পাচ্ছে।

এব্যাপারে স্থানীয় মহরম আলী জানান, আমি এখান  থেকে চট্টগ্রামের রোয়াজারহাট দুই গাড়ি গরু নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি গাড়িতে ১৮ টি গরু বহন করা যায়।

এব্যাপারে গবাদি পশু হাট ইজারাদার কনক বড়ুয়া জানান, স্থানীয়ভাবে বিক্রি হলে অনেক গরু ছাগলের হাসিল পাওয়া যায় না। তারপরও গত বাজারে ১শত ৩০টি গরুর হাসিল আদায় করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রতিদিনই দু-চারটি করে গরু বোঝাই ট্রাক যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন