parbattanews

কেপিএম কর্তৃপক্ষ যন্ত্রাংশবাহী ট্রাক ছাড়াতে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি

কেপিএমের মাল পাচার নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী কাগজ কল (কেপিএম) থেকে পুরাতন যন্ত্রাংশের আড়ালে নতুন যন্ত্রাংশ পাচারের অভিযোগে জনতা কর্তৃক মালবাহী ট্রাক আটকের ৪৮ঘন্টা অতিক্রম হলেও বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে সক্ষম হয়নি কেপিএম কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চন্দ্রঘোনা ইউপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী লিখিত এ বক্তব্য কথা উল্লেখ করেন।

এদিকে আটককৃত মালামাল ও ট্রাক ছাড়াতে দফায় দফায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন কাগজ উপস্থাপন করেছে কেপিএম কর্তৃপক্ষ।

কিন্ত মালামাল ছাড়াতে হলে বিসিআইসির বোর্ড সভায় মালামালগুলো ব্যবহারিত পুরাতন(স্ক্র্যাপ), বিক্রয়ের অনুমোতিপত্র থাকতে হবে বলে লিখিত পত্রে অভিযোগ করেন।

তিনি আরো বলেন, কোন শাখার মালামাল অপ্রয়োজনীয় ও পরিত্যক্ত ঘোনাণার পরেই তা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যেতে পারে। এছাড়া টেন্ডার সরবরাহকৃত মালামালের তালিকা থাকতে হবে। কিন্ত সরবরাহকৃত মালামাল মিলের ফটক দিয়ে অতিক্রম করার সময় সম্পূর্ণ মালের তালিকা সঙ্গে রাখার কথা থাকলেও কোন তালিকাই দেখাতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যানেজার মো.আরিফ।

পাশাপাশি উপস্থাপনকৃত সরবারহ চালানে ‘সিলেট ট-০২-০০২৬’গাড়িতে ৫০ মেট্রিক টন মালামাল পরিবহনের কথা উল্লেখ থাকতে দেখা যায়। যা রীতিমত নিয়ম বহির্ভুত।

পাচার হওয়ার মালামালবাহী ট্রাক জনতার হাতে আটক হওয়ার ৪৮ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও সঠিক তথ্য সম্বলিত কাগজ সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিকট দেখাতে সক্ষম হয়নি কেপিএম ও বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এ নিয়ে। মিল এমডি ড.এমএম এ কাদেরের একের পর এক দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।

এছাড়া রাঙ্গামাটি জেলা প্রাশসকের নিকট এর সুষ্ঠ তদন্ত দাবি জানানো হয়।

অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন,কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক মোঃ হানিফ, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল ফরিদ,চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ মিয়া, আওয়ামী লীগনেতা আক্তার হোসেন মিলনসহ কয়েক শত সাধারণ জনতা।

উল্লেখ্য,গত ১২ই ফ্রেব্রুয়ারি কর্ণফুলী পেপার মিলস লিঃ ( কেপিএম) হতে পুরাতন স্ত্র্যাপ যন্ত্রাংশের আড়ালে লক্ষ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ পাচারের অভিযোগে স্থানীয় জনতা,প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় ৩টি ট্রাক আটক করা হয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.এমএমও কাদেরের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।

Exit mobile version