parbattanews

কোনাখালীতে কিছুই রেহায় পাচ্ছেনা ভূমিদস্যু কোপা নুরুর হাত থেকে

unnamed

পেকুয়া প্রতিনিধি:

চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের শহর আলী স্টেশনের দক্ষিণ পার্শ্বে নতুনপাড়া এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাসী ভূমি জবর দখলকারী নুরুল আলম ওরফে কোপা নুরুর জবর দখল থেকে রেডক্রিসেন্টের ভূমি, নিরীহ ও অসহায় লোকজনের বসতভিটা সহ সাধারণ লোকজনের জমি কিছুই রেহায় পাচ্ছেনা। কেউ তার জবরদখল কাজে বাধা দেয়ার সাহসও পায়না বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার রেডক্রিসেন্টের জায়গায় একই এলাকার আমির হোছনের পুত্র ভূমিদস্যু নুরুল আলম ওরফে কোপা নুরু কর্তৃক খতিয়ান সৃজন করে বিভিন্নজনের নিকট চড়াদামে বিক্রি করছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার এজাহার মিয়ার পুত্র সাইফুল ইসলামের দীর্ঘদিনের দখলীয় জায়গাটি অন্য একজন আবু তাহেরের নামে খতিয়ান সৃজন করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জায়গাটি বিক্রি করছে। একইভাবে মৃত মোজাফ্ফর আহমদের পুত্র ছৈয়দ নুরের খতিয়ানভুক্ত জায়গাটি খাস করে জবরদখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

একইভাবে এলাকার অসহায় ও গরীব মৃত মোহাম্মদ পেঠানের স্ত্রী ছুরা খাতুনের দীর্ঘদিনের বসবাসকৃত বসতভিটার জায়গাটি নুরুল আলমের মাধ্যমে খতিয়ান করে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি ধমকি দিচ্ছে।

অসহায় ছুরা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, বিগত ১৪ বছর আগে মরহুম শহর আলীর পুত্র আবদুল নবী থেকে জায়গাটি ক্রয় করে বসবাস করে আসতেছি। বর্তমানে ভূমিদস্যু নুরুল আলম তার ভাই ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয় দিয়ে আমাদের বসতভিটা থেকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।

একই এলাকার হাজী আবদুল আলীমের পুত্র আবু হানিফ জানান, তার ক্রয়কৃত জমিগুলি জবরদখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমনকি পর পর দুই দফা অন্য জনকে জমি বিক্রি করলে আমার নিকট থেকে ওই ভূমিদস্যু কর্তৃক মোটা অংকের চাঁদা দাবী করছে। বর্তমানে তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এমনকি এলাকা থেকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানায় বিচারাধীন রয়েছে।

এলাকার আবু হানিফ আরো জানান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের গ্রাম আদালতের রায়ে ভূমিদস্যু নুরুল আলম কর্তৃক ১৯ শতক জায়গা জবর দখল করার প্রমাণ পেয়েছেন। এভাবে অব্যাহত সরকারী ও সাধারণ লোকজনের বসতভিটা জবর দখল করার কারণে স্থানীয় লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাপারে এলাকার অসহায় ও নিরীহ লোকজন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Exit mobile version