parbattanews

কোনো অপরাধ না করে শাস্তি পেয়েছি: প্রদীপ

সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসকে আজ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি মামলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদের আদালতে হাজির করা হয়।

আদালত থেকে বের হওয়ার পর তাকে বলতে শোনা যায়, ‘কোনো অপরাধ না করে শাস্তি পেয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি আপনার জন্য দেশের জন্য।’

সিনহা হত্যা মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর, প্রদীপ এবং টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইন-চার্জ লিয়াকত আলীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে প্রদীপকে আজ চট্টগ্রাম আদালতে আনা হয়।

২০২০ সালের ৩ আগস্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

দুদকের আইনজীবী মাহামুদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ছিল। প্রদীপ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তার সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখার আবেদন করেছেন। আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’

‘এতে দুর্নীতি মামলায় প্রদীপের সাক্ষ্যগ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। তবে তার স্ত্রী চুমকির সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি জানান, এ মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন আজ চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদের আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রদীপ আয়কর বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

প্রদীপের স্ত্রী চুমকির নামে চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ৬ তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি ব্যক্তিগত গাড়ি, একটি মাইক্রোবাস এবং কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট আছে।

তার ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকা।

সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার

Exit mobile version