parbattanews

কোন পণ্যবাহী ট্রলার মিয়ানমার থেকে আসছে না

মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দরে কয়েকজন মাঝিমাল্লার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর দেশটি থেকে এখন আর কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী ট্রলার পাঠানো হচ্ছে না।

শনিবার (৪ জুলাই) থেকে রবিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে কোনও আমদানি-রফতানি হয়নি।

টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন চৌধুরী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের মংডো ও আকিয়াব এই দুই জায়গা থেকে পণ্যের চালান এসে থাকে। কিন্তু সেখানে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কারণে পণ্য আসছে না বলে ব্যবসায়ীদের কাছে শুনেছি।’

মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন আরও বলেন, ‘আগে আসা মিয়ানমারের মংডোর দুটি ট্রলার স্থলবন্দর ঘাটে নোঙর করা রয়েছে। এই ট্রলার যেকোনও সময় পণ্যের চালান নিয়ে সে দেশে রওনা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

স্থলবন্দরের নুরু মাঝি বলেন, ‘রবিবার মিয়ানমার থেকে পণ্যের চালান না আসায় শ্রমিকদের বেকার দিন যাচ্ছে। সে দেশের মাঝিরা বলছেন, আরও কয়েকদিন সেখান থেকে কোনও পণ্যের চালান না আসার আশঙ্কা রয়েছে।’

ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, মিয়ানমারের মোংডু ও আকিয়াব থেকেই মূলত পণ্য আসে। গত ২৫ জুন আকিয়াব বন্দরে কয়েকজন মাঝিমাল্লার করোনা পাওয়া গেছে।

এরপরই সেখানে লকডাউন শুরু হলে আকিয়াব থেকে পণ্যের চালান আসা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শনিবার মংডো লকডাউন দেওয়ায় পণ্যবাহী ট্রলার আসছে না। তবে একই দিন সকালে টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রলার রওনা দেয় মিয়ানমারে।

এদিকে মিয়ানমারের মংডো ও আকিয়াব বন্দর ঘাটে এখানকার ব্যবসায়ীদের পণ্যবোঝাই ট্রলার নোঙরে রয়েছে। এসব ট্রলার স্থলবন্দরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ‘করোনার প্রভাবে মিয়ানমার থেকে কোনও পণ্যবোঝাই ট্রলার আজ আসেনি। কবে থেকে পণ্য আসতে পারে সে বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে এটি আশ্চর্যের বিষয়, সেখানে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

Exit mobile version