parbattanews

কোরবানির ঈদে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫০ হাজার গরু; দুর্ভোগে স্থানীয়রা

প্রতীকি ছবি

আসন্ন কোরবানির ঈদে স্থানীয়দের গলা কেটে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫০ হাজার গরু দেয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাজার থেকে এ সব গরু সংগ্রহ করে বিভিন্ন এনজিও ও রোহিঙ্গারা। এতে গরুর মূল্য বৃদ্ধি ও স্থানীয়দের সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রতি এত আদর সোহাগ দেখানো হলেও স্থানীয় জনসাধারণ কোরবানি দাতাদের মাঝে এনজিও বা সরকারের কোন দপ্তর থেকে কোরবানিতে কোন ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়নি।

প্রশ্ন উঠেছে রোহিঙ্গাদের মাঝে এত প্রচুর সংখ্যক কোরবানির পশু সরবরাহ করা হলেও স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে কেন কোরবানির সহায়তা দেয়া হবেনা? এ জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠছে স্থানীয়দের মাঝেও কোরবানির সহায়তা দেয়ার জন্য।

ইতোমধ্যেই স্থানীয় বাজারগুলোতে কুরবানীর পশু আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ করিডোর থেকেও প্রচুর গরু বাংলাদেশ নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী বান্দরবানের খামারিদের উৎপাদন করা পশু স্থানীয় চাহিদা পূরণ হলেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের সরবরাহ করার মত গরু স্থানীয় বাজারে নেই। এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য গরু সরবরাহ করে থাকে। তারা স্থানীয় বাজার থেকে গরু সংগ্রহ করতে গেলে কোরবানির পশুর সংকটে ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয়দের।

এদিকে মিয়ানমার থেকে আসা গরু এই ক্ষেত্রে সংকট নিরসনে সহায়ক হলেও সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে জানা গেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে আরো বিপাকে পড়তে হবে স্থানীয় জনসাধারণকে।

অতীতে দেখা গেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাজার হাজার গরু সরবরাহ করতে গিয়ে এভাবে কোরবানির পশুর মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন স্থানীয় কোরবানিদাতারা। একইভাবে আসন্ন কোরবানির ঈদেও এই ভোগান্তির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বেশ কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের গরু সরবরাহ করার জন্য ইতিমধ্যেই তাদের কাছে অর্ডার দিয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গরুর সরবরাহের এই চাহিদা ৫০ হাজারেরও বেশি বলে তিনি জানিয়েছেন।

তার মতে ব্যবসায়ীরা চড়াদামে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পশু সরবরাহ করতে পারলেও ভোগান্তি হবে স্থানীয় কোরবানি দাতাদের। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এই মুহূর্তে জেলা প্রশাসন মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধ করে দেয়ার কাজটি ভালো হয়নি। এতে স্থানীয় বাজারে পশু সঙ্কট দেখা না দিলেও মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এতে ভোগান্তিও বাড়বে স্থানীয় কোরবানী দাতাদের।

Exit mobile version