কোহালিয়া নদীকে জীবন্ত হত্যা করা হচ্ছে

fec-image

নদীর নাব্যতা ও নদীকে জ্বলোচ্ছাস থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে যৌথ নদী কমিশন গঠন করা হয়। ১৯৭৭ সালে রিভার রিসোর্স ইনস্টিটিউট গঠন করা হয়।

এর প্রধান অফিসটি প্রথমে ঢাকা ছিল। পরে নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদপুরের হারাকান্দিতে। ২০১৪ সালের ৩ আগষ্ট জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। ঠিক এক মাসের মাথায় ৩ সেপ্টেম্বর প্রথম কার্যক্রম শুরু হয়। নদী ও সমুদ্রের জলসীমা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ আর মায়ানমারের মধ্যে জার্মান আদালতে যে মামলা হয়েছিল, ঐ মামলা ২০১২ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশের পক্ষে রায় হয়।

একই ভাবে জল সীমানা বিরোধ নির্ধারণের বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে যে মামলা নেদারল্যান্ডস আদালতে হযেছিল, ঐ মামলাটি ও বাংলাদেশের পক্ষে ২০১৪ সালের ৭ জুলাই রায় হয়। নদী রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একেবারে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাতে কোন সন্দেহ নেই।

কিন্তু সিঙ্গাপুর দেখার স্বপ্নের আশ্বাস দিয়ে কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প করতে ২০ হাজার লোককে পেশা ও ব্যবসা হারা করে ১৪১৪ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অধিগ্রহণ করার পর ১ নং খাস খতিয়ান, বিসিক, ফরেস্ট্রি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে দখল করে নিয়েছেন আরও ১ হাজর একর ভূমি। চলছে উন্নয়ন যজ্ঞ।

পাশাপাশি কোহালিয়া নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করায় এখন এই নদীর অস্তিত্ব নেই। পানি নেই, মাছ নেই। পানি না থাকায় নৌযান চলাচল ও থেমে গেছে। ৩ হাজার জেলের পেটে ভাত নেই। চোখে ঘুম নেই। সাব কথা এ নদীকে জীবন্ত হত্যা করা হয়েছে। এ দায়বার কার? এ প্রশ্ন সচেতন মহলের। এ নদী রক্ষার জন্য পরিবেশ সংগঠন এগিয়ে আসার আহবান জানান স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন