parbattanews

ক্যশৈহ্লাকে বহাল রেখে ১৫ সদস্যর বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্ণগঠন

কশৈহ্লা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমান চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লাকে বহাল রেখে ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পূর্ণ গঠন করা হয়েছে। ক্যশৈহ্লা টানা দ্বিতীয়বারসহ তৃতীয়বারের মত চেয়াম্যান পদে নিয়োগ পেলেন। বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফারহানা হায়াত স্বাক্ষরিত বুধবারের ফ্যাক্স বার্তায় অন্তবর্তীকালীন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠনের কথা জানানো হয়। এর আগে, ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পরিষদের অনুমোদন দেন।

জেলা পরিষদের পূর্ণ গঠনের আগে চেয়াম্যানসহ পাঁচ সদস্যদের মধ্য কাজি মজিবর রহমান, ক্যা সা প্রু ও কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যাকে সদস্য পদে বহাল রাখা হয়েছে, সদস্য পদ থেকে বাদ পড়েছেন অং প্রু ম্রো। বাঙালী কোটায় আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজি মজিবর রহমান, যুগ্ন সম্পাদক লক্ষী পদ দাশ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মহিলা সংরক্ষিত আসনে লামার ফাতেমা পারুল ও আওয়ামীলীগ সমর্থক জহিরুল ইসলাম।

মারমা কোটায় আছেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যা সা প্রু,আওয়ামী লীগ সমর্থক আলীকদমের থোয়াইচাহ্লা মার্মা, থানছি উপজেলা সভাপতি থোয়ইহ্লা মং মার্মা ও মহিলা সংরক্ষিত আসনে তিংতিং ম্যা। ম্রো কোটায় ভাষা গবেষক সিংইয়ং ম্রো, ত্রিপুরা কোটায় ফিলিপ ত্রিপুরা, তঞ্চংঙ্গ্যা কোটায় কাঞ্চন জয় তঞ্চংঙ্গ্যা, বম কোটায় জুয়েল বম, খেয়াং কোটায় ম্রাসা খেয়াং, চাক কোটায় ক্যাউচিং চাক।

জানা গেছে, এর আগে পার্বত্য জেলা পরিষদে কোন নারী সদস্য ছিল না। তবে এবার দুইজন নারীকে অর্ন্তভূক্ত করে নতুন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়ীদের মধ্য থেকে একজন নারী এবং একজন বাঙালি নারীকে সদস্য করা হয়েছে। অপরদিকে এবার জেলা পরিষদের এক জনমাত্র বাঙালি সদস্য পদের পরিবর্তে তা বাড়িয়ে একজন নারীসহ চারজন সদস্য পদ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট ৩ বছর মেয়াদী বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির জন্য পৃথক পৃথক পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ গঠন করা হয়। এরপর আর কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। মেয়াদ শেষে ৫ সদস্য বিশিষ্ট অন্তবর্তীকালীন পরিষদ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। এরপর ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর প্রণীত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনে (১৯৯৮) ‘পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ’ নাম বদলে ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ’ করা হয়।

Exit mobile version