parbattanews

ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন মুশফিকও, ৪ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ ১৩১

ভালো কিছুর প্রত্যাশা দেখিয়ে সাকিব আল হাসান আউট হয়ে যাওয়ার পর মুমিনুল হকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম। এই জুটিটা আশা জাগাচ্ছিল। দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৪৮ রানের জুটিও গড়ে ওঠে।

কিন্তু ভালো খেলতে খেলতেই যেন হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মুশফিকুর রহিমের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারও খেই হারালেন। জয়দেব উনাদকাটের বলটি ছিল অফ স্ট্যাম্পের ওপর। বলটি ঠেকাতে গেলেন নাকি মারতে গেলেন- তার নিজেরও বোঝা দায়। স্রেফ ব্যাট পেতে দিলেন মুশফিক। বলটি ব্যাটের প্রান্ত ছুঁয়ে গিয়ে জমা পড়লো উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের গ্লাভসে।

৩৯ বলে ১৬ রানের একটি ছোট্ট ইনিংস খেলে বিদায় নিলেন বাংলাদেশের মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিক। ১৩০ রানে পড়লো চতুর্থ উইকেট।

এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৪২.২ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩১। ৪২ রানে ব্যাট করছেন মুমিনুল হক এবং তার সঙ্গী লিটন দাস এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

সূচনাটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে বাংলাদেশ দল ধীরে ধীরে রানের চাকা বাড়িয়ে চলছিল। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের প্রত্যাশা ছিল প্রথম দুই ঘণ্টা ভালোয় ভালোয় কাটাতে পারলে বাংলাদেশের খেলাটাও ভালা হবে।

কিন্তু ১৫তম ওভারে এসেই ছন্দপতন ঘটলো। কুলদিপ যাদবের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া জয়দেব উনাদকাটের বলে ক্যাচ তুলে দেন জাকির হাসান। তার ক্যাচটি তালুবন্দী করেন লোকেশ রাহুল।

আউট হওয়ার আগে জাকির করেছিলেন ১৫ রান। এর আগে দ্বিতীয় ওভারেই ক্যাচ তুলেছিলেন জাকির। মোহাম্মদ সিরাজ সেই ক্যাচ মিস করেন।

পরের ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও এই আউটটি ছিল বিতর্কিত। বাইরে চলে যাওয়া বল প্যাড দিয়ে ঠেকান শান্ত। বলটা ছিল স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে। তবুও জোরালো আবেদন করেন অশ্বিন। তার জোরালো আবেদনের মুখে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা।

রিভিউ নেওয়ার পর দেখা যায় বলটি অফস্ট্যাম্প হয়তো আলতো টাচ করে যেতো। কিংবা স্ট্যাম্প মিসও করতে পারতো। তবুও ফিল্ড আম্পায়ার আউট দেওয়ার কারণে টিভি আম্পায়ারও সেটিকে আউটই ঘোষণা করেন। ২৪ রান করে ফিরে যান শান্ত।

Exit mobile version