ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের হামলায় রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী গুলিবিদ্ধ, সন্দেহে আরসা
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে (ক্যাম্প-৮) দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন রাত্রিকালীন ক্যাম্প পাহারার স্বেচ্ছাসেবী রোহিঙ্গা দলের (লাঠি-বাঁশি বাহিনী) এক সদস্য।
সোমবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে গুলির এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুনুর রশীদ।
আহত রোহিঙ্গা আয়াত উল্লাহ (২৮) বালুখালী ক্যাম্প-৮ (ডব্লিউ) ‘ই’ ব্লকের এ-৫৩-এর বাসিন্দা আবদুল রজকের ছেলে।
ঘটনার পর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা আয়াত উল্লাহকে উদ্ধার করে ক্যাম্পের ভেতর কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করান। কারা হামলা করেছে তা বের করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুনুর রশীদ জানান, সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ক্যাম্প-৮ ডব্লিউ ই ব্লকের হেড মাঝি (ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান) মো. আরিফ স্থানীয় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। এ সময় একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ সময় মো. আরিফ দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে একটি গুলি গিয়ে লাগে রাত্রিকালীন ক্যাম্প পাহারা দলের সদস্য ও রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী আয়াত উল্লাহর কোমরে। এরপর আরিফকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে দুর্বৃত্তরা পাশের পাহাড়ের দিকে চলে যায়।
খবর পেয়ে এপিবিএনের সদস্যরা গুলিবিদ্ধ আয়াত উল্লাহকে উদ্ধার করে প্রথমে বালুখালীর এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাশের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হেড মাঝি আরিফকে হত্যা করতে হামলা চালানো হয়েছিল। তারা আরিফকে লক্ষ্য করে চারটি গুলি ছোড়ে। এই দলে কথিত আরসার সাব-কমান্ডার আকিজ প্রকাশ মৌলভি নেতৃত্ব দেন বলে প্রকাশ পাচ্ছে। আরিফকে লক্ষ্য করে গুলি করা হলেও তিনি কৌশলে রক্ষা পান। তবে গুলিবিদ্ধ হন আয়াত উল্লাহ। কারা গুলি করেছে তা শনাক্ত করতে ক্যাম্প ও আশপাশে অভিযান চালানো হচ্ছে।
রোহিঙ্গা নেতাদের মতে, ক্যাম্পের দায়িত্বরত মাঝিদের তৎপরতার কারণে আরসার বেশ কয়েক সদস্য ইতোমধ্যে শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মাদক-অস্ত্রসহ ধরা পড়েছেন। রাত্রিকালীন পাহারা বসানোর কারণে আরসার সদস্যরা বেকায়দায় রয়েছেন। আশ্রয়শিবিরে মাদকের ব্যবসা পরিচালনা, রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে না পেরে আরসার সদস্যরা মাঝিদের ওপর হামলা করছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক মাঝি মারা গেছেন এবং অনেকে আহত হয়ে ঘরে সময় কাটাচ্ছেন।