ক্রসফায়ারে নিহত রোহিঙ্গা ডাকাতের ছিল বাংলাদেশী এনআইডি, ৪টি বাড়ি, একাধিক স্ত্রী

নিজ কিশোরী কন্যার কর্ণছেদন অনুষ্ঠানে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ কোটি টাকার উপহার সামগ্রী পেয়ে আলোচনায় আসা টেকনাফের ঘটনাবহুল জনপদ জাদীমুরায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামী কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ওরফে নুর আলম ক্রস ফায়ারে নিহত হয়েছে।

১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টার দিকে নুর মোহাম্মদের দেয়া তথ্য মতে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা (২৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প) পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলেই এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশের মতে, আরসা বা আল ইয়াকিনের সক্রিয় সদস্য নুর মোহাম্মদের ক্রসফায়ারের ঘটনাস্থল থেকে ৪টি এলজি, ১টি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ওসি তদন্তসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশের দাবী।


এ সংক্রান্ত আরো খবর দেখুন:


তবে ক্রসফায়ারে নিহত হলেও এই রোহিঙ্গা ডাকাতে রয়েছে বাংলাদেশী স্মার্টকার্ড, ৪টি বাড়ি ও একাধিক স্ত্রী। আধিপত্য বিস্তারের সুবিধার্থে তিনি বিভিন্ন ক্যাম্পে একটি করে বিয়ে করেছিলেন।

শনিবার ৩১ আগস্ট দুপুরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামরী পাহাড়ী এলাকা থেকে কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদকে আমান উল্লাহ নামে অপর একজন সহযোগীসহ আটক হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যাকান্ডের ঘটনায় জাদীমুরাসহ পুরো এলাকা উত্তপ্ত হওয়ায় এতদিন ধামাচাপা ছিল কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ওরফে নুর আলমের কিশোরী কন্যার জমকালো ‘কান ছেঁদা’ অনুষ্ঠানের চমকপ্রদ খবর।

জানা গেছে, কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারী চট্রগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের ঠিকানায় বাংলাদেশী স্মার্টকার্ড তৈরী করেছেন। কার্ডে নাম দিয়েছেন নুর আলম। পিতার নাম কালা মিয়া এবং মাতার নাম সরু বেগম। জন্ম তারিখ ২৫ নভেম্বর ১৯৮৩ ইংরেজী। এনআইডি নম্বর-৬০০৪৫৮৯৯৬৩। তার স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছে পশ্চিম ষোলশহর পার্ট-২, হিলভিউ রোড, ৪২১১ পাচঁলাইশ, চট্রগ্রাম।

১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদ হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাদিমুরা এলাকায় প্রথমে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ধীরে ধীরে সেখানেই জমি কিনে বাড়ির মালিক হন।

প্রতিটি ক্যাম্পে স্ত্রী থাকায় তার আধিপাত্য বিস্তারে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদের মালিকানায় বাংলাদেশে ৪টি বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি পাকা ভবন, একটি দু’তলা, একটি টিনের ঘর এবং অপরটি বাগান বাড়ি। রয়েছে একাধিক স্ত্রী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন