parbattanews

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কোটা ভিত্তিক চাকরীর অগ্রাধিকার দেয়া হবে: বৃষকেতু চাকমা


স্টাফ রিপোর্টার:
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কোটা ভিত্তিক চাকরী ক্ষেত্রে অগ্রধিকার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেরা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সকালের পর স্থানীয় সরকার পরিষদ পরির্বতন করে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছে। এ পরিষদের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদেরও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। এ অঞ্চলের পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচন এবং স্থায়িত্বশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে ব্যাপক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে সরকার।

তিনি বলেন, জেলার বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ মাধ্যমে আর্থিক অনুদান প্রদানসহ বিভিন্ন সহয়তা করে আসছে। তিনি পাহাড়ি-বাঙালীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়কে সম্প্রীতি বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৈসাবির উৎসব পালনের আহবান জানান।

রবিবার সকাল ৮টায় বৈসুক উদযাপন উপলক্ষে রাঙামাটি ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও স্টুডেন্ট ফোরামের সহযোগীতায় শহরের গর্জনতলী এলাকার রাজীব ত্রিপুরা স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সংবর্ধনা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৃষকেতু চাকমা এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুরেশ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধারন অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেরা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি ডিজিএফ আই এর কর্নেল মো. ইমদাদুল হক ভূঁইয়া (ইমরান), রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অমিত চাকমা রাজু, সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সদস্য সাধন মণি চাকমা, সদস্য জেবুন্নেসা রহিম ও ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সাগরিকা ত্রিপুরা প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে ত্রিপুরাদের ঐহিত্যবাহী খেলাধুলায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।

এর আগে সকাল ৭টায় রাঙামাটি রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে গঙ্গাদেবীর উদ্যেশে ফুল ভাসিয়ে প্রার্থণা ও বয়োজৈষ্ঠদের স্নান ও বস্ত্র দান অংশ নেয় অতিথিবৃন্দরা।অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি পিঠা আপ্যায়ন উৎসব।

Exit mobile version