খাগড়াছড়িতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ময়না আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী রবিউল ইসলামকে (২৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহষ্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ রেজা মো: আলমগীর হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এ সময় মামলার একমাত্র আসামি রবিউল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ে আদালত এ হত্যাকাণ্ডকে নির্মম ও জঘন্য উল্লেখ করে বলেন, মৃত্যুদণ্ডের রায়ও কম হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৫ আগষ্ট রাতে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার কেয়াংঘাট ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকায় স্ত্রী ময়না আক্তারকে (১৯) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী রবিউল ইসলাম। এই ঘটনায় নিহত ময়নার বাবা মাইনুল হক বাদী হয়ে মেয়ের জামাইসহ অজ্ঞাত ৪/৫জনকে আসামি করে মহালছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিন মাস পর একই বছরের ২০ নভেম্বর রবিউলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশীট দিয়েছিল পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, রবিউল ইসলাম বিয়ের আগে প্রলোভন দেখিয়ে ময়না আক্তারের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে ময়না আক্তার অন্তসত্বা হয়ে পড়লে সামাজিক বিচারে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু রবিউল ইসলাম এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি।
এদিকে এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট বিধান কানুনগো জানান, মামলা চলাকালীন আসামির স্বীকারোক্তি এবং ১৫জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন। এ নিয়ে গত ৫দিনে আরো দুটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় খাগড়াছড়ির আদালত।