খাগড়াছড়িতে আজও ঢুকলো দুই হাজার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক
খাগড়াছড়ি মুখী কারাখানার শ্রমিকদের স্রোত দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিন খাগড়াছড়ির রামগড় ও মানিকছড়ি চেক পোষ্ট দিয়ে নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক খাগড়াছড়ি ঢুকছেন। জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। খাগড়াছড়িতে ঢুকে পড়া শ্রমিকদের কোয়ারেন্টিনও নিশ্চিত করতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে বাড়ছে খাগড়াছড়িতে করোনা ঝুঁকি।
এক পরিসংখানে দেখা গেছে, গত তিন দিনে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও রামগড় চেক পোস্ট দিয়ে চার হাজার ৭শত ৬৫ জন শ্রমিক প্রবেশ করেছেন। তার মধ্যে শুধু শনিবার খাগড়াছড়িতে প্রবেশ করেছে দুই হাজার একশ ৬ জন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিকরা তাদের বেতন দেয়নি। বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় তাদের বের করে দিচ্ছে মালিকরা। তারা বাধ্য হয়ে কেউ ট্রাকে, সিএনজি অনেকে পায়ে হেটে নিজ বাড়ীতে ফিরছেন। শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। তাদের সাথে রয়েছে শিশুও। অনেকে দিন ভর না খেয়ে ছিলেন তারা। এ দৃশ্য সত্যি অনমানবিক।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমীর হোসেন জানান, শনিবার রাত পর্যন্ত মানিকছড়ি চেক পোস্ট দিয়ে এক হাজার ৯শ ১৯ জন প্রবেশ করেছে। এরা সকলেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, রামগড় চেক পোস্ট দিয়ে শনিবার রাত পর্যন্ত একশ ৮৭ জন প্রবেশ করেছে। এরা সকলে ঢাকার আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক। তাদের নাম লিপিবদ্ধ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক খাগড়াছড়ি প্রবেশ করলেও এ সব শ্রমিকদের কোয়ারেন্টিন কতটুকু নিশ্চিত করছে তা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন উঠেছে। কেননা সিভিল সার্জনের কোয়ারেন্টিনে থাকা তথ্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডাক্তার নুপুর কান্তি দাশ’র শনিবার রাতে দেওয়া তথ্য মতে, বর্তমানের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ৪শত ৮৯ জন, হোম কোয়ারেন্টিনে ৩শ ৮৩ ও আইসোলেশনে তিন রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ২৬ জনের রিরোর্ট এসেছে নেগেটিভ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাকী শ্রমিকগুলো আদৌ কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত হলো কিনাৗ।
ফলে খাগড়াছড়িতে এখনো পর্যন্ত করোনা রোগী সনাক্ত না হলেও ঝুঁকি কিন্তু বাড়ছে। এখনি ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে এমনি শঙ্কা সচেতন মহলের।