parbattanews

খাগড়াছড়িতে আমসহ ফলের উপর অতিরিক্ত টোল আদায় ও হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আম ও লিচুসহ ফলের উপর অতিরিক্ত টোল আদায় ও হয়রানীর বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে খাগড়াছড়ি ফলবাগান মালিক সমবায় সমিতি ও মারমা ফলদ বাগান মালিক সমিতি।

বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের হল রুমে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও বাজার ফান্ডের টোল কেন্দ্রে সিন্ডিকেটের লোকজন কর্তৃক হয়রানীর প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে শীঘ্রই কঠোর কর্মসূচীর হুমকি দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জগৎ জীবন চাকমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির সভাপতি দিবাকর চাকমা, মারমা ফলদ বাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুশ্যি চৌধুরী ও অর্থ সম্পাদক মংচিং মারমা প্রমুখ।

সাংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, জেলা পরিষদ, বাজার ফান্ড ও পৌরসভা সিডিউলের বাহিরে অতিরিক্ত টোল আদায়ে ফল ব্যবসায়ীদের হয়রানী করছে। আর এ সব অতিরিক্ত টোলের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না করে তা সিন্ডিকেট চক্র ভাগ-ভাটোয়ারা করে খাচ্ছে। এতে আরও জানানো হয়, বাহিরের জেলাগুলোর সাথে পার্বত্য এ জেলার টোল সিডিউলের কোন মিল নেই। এর বাহিরেও অতিরিক্ত টোল আদায় ও হয়রানীর ফলে কৃষিপন্য ও ফল উৎপাদনে চাষীরা উৎসাহ হারাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।

যেখানে খাগড়াছড়ি পৌরসভার ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকার আম বা লিচুর গাড়ীতে টোল দিতে হয় ৩/৬ হাজার টাকা সেখানে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তামাক পাতার ১০ লক্ষ টাকার গাড়িতে ১ হাজার টাকা ও ৫-৭ লক্ষ টাকার কাঠের ট্রাকে ৮শ টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়। একই ভাবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের রামগড় সোনাইপুল ও মানিকছড়িও গাড়িটানা টোল আদায় কেন্দ্রে সরকারি রেইট সিডিউল অনুসারে গাড়ি প্রতি ২শ-৫শ টাকার নেওয়ার স্থলে ভাউচার বিহীন ৩-৮ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
একই সাথে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ও বাজার ফান্ড ও পৌরসভার অতিরিক্ত টোল আদায় ও হয়রানী বন্ধের দাবি জানিয়ে বিগত ১৫-২০ বছরে সিন্ডিকেট চক্রের দুর্নীতি তদন্তেরও দাবি জানানো হয় এতে। এ সকল বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন সংগঠন দুটি।

Exit mobile version