parbattanews

খাগড়াছড়িতে আ’লীগ ও বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

খাগড়াছড়ি পৌরসভায় আাওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ি পৌরসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে ৯ ওয়ার্ডের ১৮ টি কেন্দ্রে একযোগে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

সকালে ৮ নং ওয়ার্ডের শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে মেয়র প্রার্থী রফিকুল আলম অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর লোকজন পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তিনি সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।

অন্যদিকে, ৯নং ওয়ার্ডের খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দেয়া শেষে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেন।

অপর দিকে ৪নং ওয়ার্ডের যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো: ইব্রাহিম খলিল বলেন, এখনো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। এ ভাবে ভোট চললে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।

পৌরসভায় সব ক’টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ভোটারবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে। র‌্যাব ও বিজিবি’র স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সে সাথে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো শহর। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাবের টহল রয়েছে।

এবার প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে খাগড়াছড়ি পৌরসভায়। এ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।

খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৭ জন। নারী ভোটার ১৬ হাজার ৭শ ৩৬ জন এবং পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২০হাজার ৩শ ৫১ জন।

Exit mobile version