parbattanews

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের দুই সদস্যকে হত্যার ঘটনায় মামলা, ময়নাতদন্তের পর লাশ হস্তান্তর

খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের দুই সদস্যের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে পুলিশ পরিবারের কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করে।এ সময় স্বজন ছাড়াও এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে এ ঘটনায় মুখ খুলছে না কেউ।

লাশ বুঝে নেয়ার সময় পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে না চাইলেও এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচার দাবি করেন।

তারা বলেন, পাল্টাপাল্টি আক্রমণ, সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা কখনো শান্তি, সমাধান আনতে পারেনা। একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও এর দায়, বিচার চাওয়ার কোন সুযোগ পাচ্ছেন না তারা।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মহালছড়ি থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

মহালছড়ি থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত শান্ত চাকমা বিমলের স্ত্রী রেখা চাকমা বাদী হয়ে ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে একটি মামলা করেন। এছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এসআই মাজহারুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।

উল্লেখ, গতকাল বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার দুর্গম দূরছড়ি এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে রবি কুমার চাকমা (৬৫) ও শান্ত চাকমা বিমল (৫২) নামে দুইজন নিহত হয়। পুলিশ লাশের পাশ থেকে তিনটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। নিহতরা পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ- প্রসীত গ্রুপের সদস্য। ঘটনায় ত্রিপন চাকমা (৩৫) নামে আরো একজন আহত হয়।

ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করলেও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা দায় অস্বীকার করেছেন। এদিকে খাগড়াছড়িতে গত দেড় মাসে এই নিয়ে ৬ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে।

Exit mobile version