parbattanews

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ ও অপর আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে ১ জন নিহত

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং এলাকায় ইউপিডিএফ মূল দল ও অপর আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে ১ জন নিহত হয়েছে, এ সময় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (১৮ জুলাই) ভোর পাঁচটার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার ইউনিয়নের তানাক্কা পাড়া বিজিবি ক্যাম্পের অদূরে ইউপিডিএফ মুল ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী এই বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়।

খবর পেয়ে যামিনী পাড়া বিজিবি জোন কমান্ডারের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে উভয় সন্ত্রাসী দল পালিয়ে যায়। বিজিবি ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি একে- ২২ রাইফেলসহ একজন সন্ত্রাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরেক সন্ত্রাসীর পালিয়ে যাওয়ার আলামত দেখতে পায়।

জামিনীপাড়া বিজিবি জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল এবি এম জাহিদুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইউপিডিএফ প্রসীত ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসীর নাম ওদুদ ত্রিপুরা (২৭), পিতা-সুনেল চাকমা, মাতা শান্তি রাণী ত্রিপুরা। নিহত সন্ত্রাসী সুকুমার ত্রিপুরা কারবারি পাড়া, ৫ নং ওয়ার্ড, ১ নং তাইনদং ইউনিয়ন, উপজেলা মাটিরাঙ্গা, জেলা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বাসিন্দা। তিনি ইউপিডিএফ মূল দলের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে দীর্ঘদিন বাঙ্গালীদের চাষাবাদে বাধা দেয়া, চাঁদা দিতে বাধ্য করা, কচু বাগান কেটে ফেলাসহ নানা অভিযোগ ছিল।

বিজিবি ঘটনাস্থলে আরো তল্লাশি চালিয়ে একটি একে ২২ রাইফেল, দুইটি মগ, একটি মোবাইল ফোন, একটি চাঁদা আদায় রশিদ বই, ৩ রাউন্ড একে-২২ রাইফেলের গুলি, দুইটি ম্যাগজিন, ২১ রাউন্ড গুলির খোসা, একটি হাতব্যাগ, একটি হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ব্যানার উদ্ধার করে।

স্থানীয় পুলিশ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানা গিয়েছে।

Exit mobile version