parbattanews

খাগড়াছড়িতে উল্টো রথ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও উল্টো রথ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকালে খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী লক্ষী নারায়ণ মন্দিরে প্রথম অদিবেশনে ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মন্দির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি অমৃত লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

সভা শেষে উল্টো রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় প্রাঙ্গন থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শান্তিনগর হয়ে খাগড়াছড়ি গেইট ঘুরে এসে শ্রী শ্রী বঙ্কুবিহারী কেন্দ্রীয় ইসকন মন্দিরে এসে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী পরিষদের আহ্বায়ক তপন কান্তি দে, লক্ষী নারায়ণ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দেব, সনাতন ছাত্র যুব পরিষদের সাবেক সভাপতি শিব শংকর দেব, মন্দির পরিচালনা কমিটির অর্থ-সম্পাদক স্বপন চন্দ্র দেবনাথ, শ্রী শ্রী কৈবল্য পীঠের সভাপতি চন্দ্র শেখর দাশ, সনাতন কল্যাণ পরিষদের সাধারন সম্পাদক সুমন আচার্য্য, সনাতন ছাত্র যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখর সেন, খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের সাধারণ সম্পাদক প্রভাত তালুকদার, লিটন ভট্টাচার্য্য রানা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, রথযাত্রা উৎসব হচ্ছে বড় ভাই বলরাম বা বলভদ্র ও বোন সুভদ্রাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন যাত্রার স্মারক। তিন জনের জন্য আলাদা আলাদা তিনটি রথ। রথযাত্রা উৎসবের মূল দর্শনীয় হল এই রথ তিনটি। প্রথমে যাত্রা শুরু করে বড় ভাই বলভদ্রের রথ। এই রথের নাম তালধ্বজ। রথে তার সঙ্গী হন রামকৃষ্ণ ৷তালধ্বজের রক্ষীর নাম বাসুদেব। সারথি সাত্যকি। রথের মাথায় পতাকার নাম উন্যানী। রথের রশির নাম বাসুকি নাগ। বলরামের রথেও ৯ দেবতা থাকেন ৷

এদের মধ্যে আছেন কার্তিক, গণেশ, সর্বমঙ্গলা, মৃত্যুঞ্জয়, মুক্তেশ্বর। তারপর যাত্রা করে সুভদ্রার রথ। রথের নাম দর্পদলন। যেহেতু রথটির ধ্বজা বা পতাকায় পদ্মচিহ্ন আঁকা রয়েছে তাই রথটিকে পদ্মধ্বজও বলা হয়ে থাকে। দর্পদলনের সারথির নাম অর্জুন। দর্পদলনের মাথায় থাকা পতাকার নাম নদম্বিকা ৷ রথের রশির নাম স্বর্ণচূড়া নাগুনি। সুভদ্রার রথে থাকেন ৯ দেবী ৷ এদের মধ্যে রয়েছেন চণ্ডী, চামুণ্ডা, বনদুর্গা, শুলিদুর্গা, শ্যামাকালী, মঙ্গলা, বিমলা ৷

 

Exit mobile version